ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

নিয়তিতে হান্ড্রেড পার্সেন্ট বিশ্বাস করি : আরিফিন শুভ

সোমেশ্বর অলি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৬
নিয়তিতে হান্ড্রেড পার্সেন্ট বিশ্বাস করি : আরিফিন শুভ আরিফিন শুভ, ছবি: নূর-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ একেক ঘরানার ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। সুদর্শন এই নায়ক তুখোড় অভিনেতা হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছেন।

একের পর এক অভিনয় করছেন বৈচিত্রময় ছবি আর চরিত্রে। তেমনই একটি ছবি ‘নিয়তি’। জাকির হোসেন রাজুর পরিচালনায় যৌথ প্রযোজনার ছবিটিতে তার নায়িকা জলি। কলকাতার পর আগামী ১২ আগস্ট বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে এটি। বাংলানিউজের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছেন আরিফিন শুভ।

বাংলানিউজ: আপনি ভাগ্যে বা নিয়তিতে বিশ্বাস করেন?
আরিফিন শুভ:
জ্বি অবশ্যই। হান্ড্রেড পার্সেন্ট।   

বাংলানিউজ: ঠিক কী কারণে মানুষ ভাগ্যে বিশ্বাস করে?
শুভ:
একটা বিষয় খেয়াল করবেন যে, কোনো কিছুই ঠিক নেই তা-ও হয়ে গেলো। আবার সব ঠিক থাকলেও কিছুই হয় না। এটা নিয়তি ছাড়া আর কী!

বাংলানিউজ: ‘নিয়তি’র ভাগ্যে কী আছে? হিট না ফ্লপ?
শুভ:
এটা আসলে বলা মুশকিল। ১২ আগস্টের আগে কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা মনেপ্রাণে চাই ছবিটি ভালো চলুক।  

বাংলানিউজ: ঠিক কী কী কারণে ছবিটি দেখার ব্যাপারে দর্শক আগ্রহী হতে পারে?
শুভ:
একটি বিনোদনমূলক ছবিতে দর্শক যা কিছু প্রত্যাশা করেন, সবই আছে ‘নিয়তি’তে। খুব সুন্দরভাবেই আছে সেগুলো। সবশ্রেণীর দর্শকের জন্য উপযোগী এটি। এজন্য আমি ছবিটি নিয়ে একটু বেশি আশাবাদী।  

বাংলানিউজ: ‘অস্তিত্ব’র পর ‘নিয়তি’র প্রচারেও আপনি বেশ সময় দিচ্ছেন। ভবিষ্যতে অন্য ছবিগুলোর ব্যাপারেও এমন মনোযোগী থাকবেন তো?
শুভ:
দেখুন, এটা ঠিক আমার ওপর নির্ভর করে না। তবে আমার ইচ্ছে করে প্রচারণায় সময় দিতে। যেমন ‘নিয়তি’র বেলায় ‘প্রেমী ও প্রেমী’র পরিচালক ও প্রযোজক ১১ দিন সময় বের করে দিয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) নিজের হাতে পোস্টার লাগিয়েছি। ১২ আগস্ট রাত পর্যন্ত প্রচারণায় থাকতে পারছি। ওই রাতেই ‘প্রেমী ও প্রেমী’র শুটিংয়ে দেশের বাইরে যেতে হবে।

বাংলানিউজ: নতুন নায়িকা (জলি) কেমন অভিনয় করেছেন? সহশিল্পী হিসেবে তার কাজ কেমন লেগেছে?
শুভ:
এমন অনেক উদাহরণ আছে যারা শুরুতে ভালো না করলেও চেষ্টা আর সাধনার সুবাদে বড় অভিনয়শিল্পী হতে পেরেছেন। জলির ব্যাপারে বলবো, কাজের প্রতি ওর আগ্রহ ও চেষ্টা ওকে অনেকদূর নিয়ে যাবে। ‘নিয়তি’ ছবিতেই আমরা জুটিবদ্ধ হয়ে প্রথম কাজ করলাম। জলি অনেক পরিশ্রমী একটি মেয়ে। যদিও সে বড়পর্দায় নতুন, এখনও অনেক কিছু শেখার আছে তার। তার শেখার আগ্রহ আছে। বাকিটা দর্শক সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখলেই বুঝবেন।   

বাংলানিউজ: ঈদের পর বলা হচ্ছে, ভালো ছবির সুদিন ফিরছে। সত্যি কী তাই?
শুভ:
ঈদে একটি ছবি বেশ চলেছে এ নিয়ে সবাই একমত। লক্ষ্য করবেন একই শিল্পীর অন্য ছবিগুলোর ফল অতটা ভালো নয়। এর অর্থ এই যে, ভালো টিমওয়ার্ক ও সবদিক দিয়ে পরিপূর্ণ ছবিই দর্শক গ্রহণ করে। ভালো গল্প হলে দর্শক অবশ্যই হলে গিয়ে ছবি দেখে।

বাংলানিউজ: ভারতীয় ছবি আমদানির বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছেন চলচ্চিত্রের মানুষেরা। আপনার অবস্থান কী?  
শুভ:
দেখুন আমি যৌথ প্রযোজনার একটি ছবিতে (নিয়তি) কাজ করেছি। এখানে দেশের শিল্পীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও আমার দেশের স্বার্থ রক্ষা হবে এমন কাজই করবো। আমার মতে, আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে।  

আমাদের উচিত আমাদের বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগানো। নিজের ছবির দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। আর এটা তো সত্যি, একই অঞ্চলে বিভিন্ন ভাষার ছবি চললেও নিজেদের ছবিটাই দর্শক বেশি দেখে। আমার কথা হচ্ছে, কে এলো কে গেলো দেখার দরকার নেই। যার যার নিজের কাজটা ভালো করতে হবে। ব্যস।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৬
এসও/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।