ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

ফারুকের ‘নানা রঙের দিনগুলি’

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৬
ফারুকের ‘নানা রঙের দিনগুলি’ ফারুক

‘লাঠিয়াল’, ‘নয়নমনি’, ‘সুজন সখী’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘আলোর মিছিল’- এমন অসংখ্য কালজয়ী ছবিতে চিত্রনায়ক ফারুকের অভিনয় দর্শকের মনে আজও সমান আবেদন ফেলে। প্রায় চার যুগের ক্যারিয়ারে একাধিকার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

রূপালি পর্দা ও অভিনয়ের বাইরে গুণী মানুষটি তার শৈশব, কৈশোর ও তারুণ্যে কাটিয়েছেন দারুণ সময়। সেইসব ‘নানা রঙের দিনগুলি’র কিছু স্মৃতি ৬৭ বছর বয়সী এই অভিনেতা ভাগ করেছেন দর্শকদের জন্য।  

বাংলাভিশনের ‘নানা রঙের দিনগুলি’ অনুষ্ঠানে ফারুকের মুখে শোনা যাবে তার জীবনকথা ও স্মৃতিচারণ। নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল ও কীর্তিমান ব্যক্তিত্বদের নিয়ে তৈরি হয়েছে এটি। প্রথম পর্বেই অতিথি হয়েছেন আকবর হোসেন পাঠান দুলু (ফারুকের প্রকৃত নাম)।

এর প্রতি পর্বে একজন বরেণ্য ব্যক্তিত্ব তার ব্যক্তি ও কর্মজীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের নানা ঘটনা বর্ণনা করবেন। পাশাপাশি তুলে ধরবেন নিজের ভালোলাগা। সপ্তাহের প্রতি রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অনুষ্ঠানটি প্রচার হবে বলে জানান প্রযোজক মামুন খান।

আগামী ১৮ আগস্ট ফারুকের ৬৮তম জন্মদিন। তার শৈশব-কৈশোর ও যৌবন কেটেছে পুরান ঢাকায়। এখন তিনি থাকেন উত্তরায় নিজ বাড়িতে।  

১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’তে অভিনয়ের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে ফারুকের অভিষেক। তার বিপরীতে ছিলেন কবরী। এরপর মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ (১৯৭৩) ও নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’-এ (১৯৭৪) দুটি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।  

১৯৭৫ সালে ফারুক অভিনীত ‘সুজন সখী’ ও ‘লাঠিয়াল’ ছবি দুটি ব্যবসাসফল হয়। ওই বছর ‘লাঠিয়াল’-এর জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ ও ‘নয়নমনি’, ১৯৭৮-এ শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘সারেং বৌ’, আমজাদ হোসেনের ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’সহ বেশকিছু ছবিতে ফারুকের অভিনয় প্রশংসিত হয়।  

চলচ্চিত্রের বাইরে ফারুক একজন ব্যবসায়ী। গাজীপুরে অবস্থিত নিজের শিল্প প্রতিষ্ঠান ফারুক নিটিং ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত আছেন তিনি। মাঝে দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন ফারুক। সিঙ্গাপুরে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন তিনি।

ব্যক্তিজীবনে ফারুক বিয়ে করেন ফারজানা পাঠানকে। তাদের দুই সন্তান- কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৬
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।