ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

জসিমকে মনে পড়ে

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৬
জসিমকে মনে পড়ে জসিম (জন্ম: ১৪ আগস্ট, ১৯৫০; মৃত্যু: ৮ অক্টোবর, ১৯৯৮)

আশি ও নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা জসিমের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার। ১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর না ফেরার দেশে চলে যান ঢাকাই ছবির এই অ্যাকশন তারকা।

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয় তার।

জসিম ছিলেন একাধারে অভিনেতা, প্রযোজক ও ফাইট ডিরেক্টর। তার প্রকৃত নাম আবদুল খায়ের জসিম উদ্দিন। ঢাকার কেরানিগঞ্জের বক্সনগর গ্রামে তিনি জন্মেছিলেন ১৯৫০ সালের ১৪ আগস্ট। লেখাপড়া করেন বিএ পর্যন্ত।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন জসিম। দুই নম্বর সেক্টরে মেজর হায়দারের নেতৃত্বে রণাঙ্গনে অংশ নেন তিনি। ১৯৭৩ থেকে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিলো।

চলচ্চিত্রে জসিমের আগমন হয় খলনায়ক হিসেবে। সময়ের পরিক্রমায় নিজেকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়কদের কাতারে পৌঁছে যান তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বড়পর্দায় দেখা গেছে তার দাপুটে পদচারণা। ঢাকার ছবিতে তিনিই নতুন ধারার মারামারির প্রচলন ঘটান।

দেওয়ান নজরুল পরিচালিত ‘দোস্ত দুশমন’ ছবির মাধ্যমে রূপালি পর্দায় জসিমের অভিষেক হয়। এটি ছিলো হিন্দি ‘শোলে’ ছবির রিমেক। এতে তিনি গাব্বার সিং চরিত্রে কাজ করে ব্যাপক আলোচিত হন। এরপর ঢালিউডে খলনায়ক হিসেবে দীর্ঘদিন একক রাজত্ব করেন তিনি।

বেশ কয়েক বছর পর দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর পরিচালনায় ‘সবুজ সাথী’ ছবিতে প্রথমবার নায়ক হিসেবে হাজির হন জসিম। এটি জনপ্রিয় হওয়ায় আর খলনায়ক হননি তিনি। বরং শোষিত, নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন পর্দায়। আশি ও নব্বই দশকের প্রায় সব জনপ্রিয় নায়িকার বিপরীতেই দেখা গেছে তাকে। এর মধ্যে শাবানা ও রোজিনার সঙ্গে তার জুটিই সবচেয়ে বেশি দর্শকপ্রিয়তা পায়।

জসিম অভিনীত ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘তুফান’, ‘জবাব’, ‘নাগ নাগিনী’, ‘বদলা’, ‘বারুদ’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘লালু মাস্তান’, ‘নবাবজাদা’, ‘অভিযান’, ‘কালিয়া’, ‘বাংলার নায়ক’, ‘গরিবের ওস্তাদ’, ‘ভাইবোন’, ‘মেয়েরাও মানুষ’, ‘পরিবার’, ‘রাজা বাবু’, ‘বুকের ধন’, ‘স্বামী কেন আসামী’, ‘লাল গোলাপ’, ‘দাগী’, ‘টাইগার’, ‘হাবিলদার’, ‘ভালোবাসার ঘর’ প্রভৃতি। সবমিলিয়ে প্রায় দুইশ’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি।

জসিমের প্রথম স্ত্রী ছিলেন নায়িকা সুচরিতা। পরে তিনি ঢাকার প্রথম সবাক ছবির নায়িকা পূর্ণিমা সেনগুপ্তার মেয়ে নাসরিনকে বিয়ে করেন। জসিমই একমাত্র শিল্পী, যার নামে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (বিএফডিসি) একটি ফ্লোরের নামকরণ হয়েছে। এই অকালপ্রয়াত নায়ক-প্রযোজকের মৃত্যুর পর তাকে সম্মান জানাতে এফডিসির সবচেয়ে বড় ২ নং ফ্লোরের নামকরণ হয়েছে তার নামে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৬
জেএমএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।