তাদের সঙ্গে কাঞ্জিরা ও কোনাক্কল বাজালেন স্বামীনাথন এবং মোরসিংয়ে ছিলেন এ. গণেশন। নিজেদের পরিবেশনার শুরুতেই তারা ঘাটমে শিবস্তব করেন।
এর আগে দলগত সেতার বাদন পরিবেশন করেন বেঙ্গল পরম্পরা সঙ্গীতালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেতার দলে ছিলেন প্রসেনজিৎ মণ্ডল, টি এম সেলিম রেজা, রিঙ্কু চন্দ্র দাস, মেহরীন আলম, জ্যোতি ব্যানার্জী, মোহাম্মাদ কাউসার এবং জাহাঙ্গীর আলম শ্রাবণ। তাদের সঙ্গে তবলায় ছিলেন প্রশান্ত ভৌমিক ও সুপান্থ মজুমদার। পণ্ডিত কুশল কুমার দাসের কম্পোজিশনে তারা কিরওয়ানি রাগে সেতার অর্কেস্ট্রা পরিবেশন করেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) শীতের সন্ধ্যায় স্নিগ্ধ পরিবেশে বর্ণিল আলোয় সেজে ওঠে রাজধানীর আবাহনী স্টেডিয়াম।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সুখ-সাগরে নিজেকে সমর্পণ করে শিল্পীদের সুর-লহরি হৃদয়ঙ্গমে নিজেদের ঋব্ধ হওয়ার আকুলতায় রাতে উৎসবে আসেন হাজারো সঙ্গীত প্রেমী। স্নিগ্ধতা ছড়ানো শব্দধ্বনিতে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সুর-লহরির টানে আবাহনী মাঠের সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত সুরের নেশায় মগ্ন হতে এসেছেন সঙ্গীতপিপাসু মানুষ। কেউ একা, কেউ বা পরিবার-পরিজন নিয়ে।
উৎসবের তৃতীয় দিনে আরো সঙ্গীত পরিবেশন করেন আবির হোসেন (সরোদ), গাজী আবদুল হাকিম (বাঁশি), পণ্ডিত উদয় ভাওয়ালকর (ধ্রুপদ), বিদূষী কালা রামনাথ (বেহালা) এবং পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী (খেয়াল)। উৎসবে পরিবেশনা চলবে ভোর ৫টা পর্যন্ত। ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে পাঁচ দিনব্যাপী বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসবের তৃতীয় দিনের এ আয়োজন শুরু হয় বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায়।
চতুর্থ দিনের আয়োজন:
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) চতুর্থ দিনের উৎসবে মনিপুরি, ভরতনট্যম ও কত্থক নৃত্য পরিবেশন করবেন সুইটি দাস, অমিত চৌধুরী, স্নাতা শাহরিন, সুদেষ্ণা স্বয়মপ্রভা, মেহরাজ হক ও জুয়াইরিয়াহ মৌলি। সরোদ পরিবেশন করবেন বেঙ্গল পরম্পরা সঙ্গীতালয় ও পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, খেয়াল পরিবেশন করেবন ওস্তাদ বশির খান ও পণ্ডিত যশরাজ, বেহালা পরিবেশন করবেন ড. মাইশুর মঞ্জুনাথ, চেলো পরিবেশন করবেন সাসকিয়া রাও দ্য-হাস এবং সেতার পরিবেশন করবেন পণ্ডিত বুদ্ধাদিত্য মুখার্জি।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৭ ঘণ্টা ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭
এইচএমএস/এসআই