প্রিয়াংকা বলেন, ‘ওস্তাদ নির্মলেন্দু চৌধুরী ও প্রয়াত সুরকার বাণী কুমার চৌধুরীর কাছে আমি গানের তালিম নিয়েছি। পরবর্তীতে রাজেশ সাহা, আব্দুর রহিমসহ চট্টগ্রামের আরও গুণী সংগীতজ্ঞের কাছে তালিম নেওয়ার সুযোগ হয়েছে আমার।
গান গেয়ে দেশের সম্মান বৃদ্ধি করতে চান প্রিয়াংকা। নিয়মিত সে সাধনাতেই মগ্ন তিনি। তার ভাষ্যে, ‘গান গেয়ে বহুদূর যেতে চাই। দেশের সংগীতে অবদান রেখে বিশ্ব দরবারে দেশের সম্মান আরও বৃদ্ধিতে কাজ করতে চাই। ’
কৈশোর থেকেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় তার অংশগ্রহণ রয়েছে। ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা আয়োজিত সংগীত প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অর্জন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পুরস্কার পেয়েছেন প্রিয়াংকা।
২০০৯ ও ২০১০ সালে জাতীয় শিশু কিশোর প্রতিযোগিতায় উচ্চাঙ্গসংগীত ও দেশের গানে স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন তিনি। মোট ছয়বার গানের জন্য স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন এ শিল্পী।
বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত বিভাগে স্নাতক চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনা করছেন প্রিয়াংকা। নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘পড়াশোনা শেষ করে সংগীত নিয়ে কাজ করবো। ভালো ভালো গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো। সংগীতের সৌন্দর্য সবার কাছে তুলে ধরবো। তাছাড়া উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ারও ইচ্ছে আছে। ’
গৃহিণীদের নিয়ে আয়োজিত দেশের সর্বপ্রথম সংগীত বিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সিলন সুপার সিঙ্গার’-এ ১৫ হাজার প্রতিযোগীদের মধ্যে ৪র্থ স্থান অধিকার করে নিয়েছে প্রিয়াঙ্কা। সামনে নিজের ঝুলিতে আরো বড় বড় স্বীকৃতি পুড়তে চান এই প্রতিভাবান তরুণী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
জেআইএম