এটিএম শামসুজ্জামানের ছোট ভাই সালেহ জামান সেলিম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আগস্ট মাসে বাসায় ফেরার পর তিনি ভালোই ছিলেন।
বর্তমানে এটিএম শামসুজ্জামানের সঙ্গে রয়েছেন তার মেয়ে কোয়েল। তিনি বলেন, বাবার মূলত গ্যাস্ট্রিক ও মলত্যাগজনিত সমস্যা। এর আগে এই সমস্যাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আবারো এটি শুরু হলে আজ চিকিৎসকে দেখাতে আসি। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ভয়ের কোন কারণ নেই, দ্রুতই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
আরও পড়ুন>> চার মাস পর সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেন এটিএম শামসুজ্জামান
কোয়েল আরও জানান, অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যায় এটিএম শামসুজ্জামানের নাকে নল লাগিয়ে গ্যাস বের করা হয়েছে। ওষুধ দেওয়ার পর এখন বিশ্রামে আছেন তিনি। তবে পুরোপুরি সুস্থ নন। এখনো মলত্যাগের সমস্যা রয়েছে।
এর আগে গ্যাস্ট্রিক এবং মলত্যাগজনিত সমস্যার কারণে চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল এটিএম শামসুজ্জামানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন তার অবস্থা অবনতির দিকে গেলে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করা হয় এবং রাখা হয় লাইফ সাপোর্টে।
প্রায় চার মাস চিকিৎসা নিয়ে গত ২৯ আগস্ট রাজধানীর বসুন্ধরায় মেয়ের বাসায় উঠেন এটিএম শামসুজ্জামান। সেখানেই তিনি এতদিন বসবাস করছিলেন।
১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে এটিএম শামসুজ্জামান জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথম চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি কাজ করেছেন ‘জলছবি’ সিনেমায়। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন বর্ষীয়ান এ অভিনেতা।
১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের সিনেমায় অভিষেক ঘটে। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খলনায়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। সিনেমার পাশাপাশি অসংখ্য খণ্ড নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এ অভিনেতার একমাত্র পরিচালিত সিনেমা ‘এবাদত’। এখন পর্যন্ত পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এ কিংবদন্তি। কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান তিনি। এরপর ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ এবং ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য একই পুরস্কার লাভ করেন এটিএম শামসুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
এইচএমএস/জেআইএম