নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএবি) নিয়ে সরগরম গোটা দেশ। যে আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে গোটা দেশ।
এই অচলাবস্থায় ভরসা হয়ে উঠেছে রূপম ইসলামের কণ্ঠের প্রতিবাদী গান। তিনি রাস্তায় নেমে গাইছেন- আমি মানুষের স্বাধীনতা চাই/আছি মানুষের বিপ্লবে তাই/যতদূরে হোক না লড়াই, আমি সংহতি জানাই।
গানটির মাধ্যমে তিনি সরকার ও প্রশাসনকে তর্জনী দেখিয়েছেন। তবে সোজাসুজি নয়, খানিক পরোক্ষভাবে। গানের একটি অংশে তিনি গেয়েছেন- ‘তুমি লেঠেল পাঠালে প্রশাসক/তুমি বশ্যতা চাও বিরোধীর/জেনে নাও সবাই নয় স্তাবক, ওরা আগুন…। ’
এটি সাম্প্রতি তৈরি গান নয়, অনেক আগের গাওয়া রূপমের কণ্ঠের একটি প্রতিবাদী গান। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গানটি আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। তাই ভক্ত-অনুরাগীরা গানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে ‘এনআরসি’ বিরোধী সুর তুলেছেন।
এছাড়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএবি) প্রসঙ্গে রূপম ইসলাম বলেন, ‘ভারতের একটি ধর্মরিপেক্ষ রাষ্ট্র। এখানে এমন কোনো আইনি নিয়ে আসা উচিত নয়, যা নির্দিষ্ট কয়েকটি ধর্মকে নাগরিকত্ব দেয় এবং একটি নির্দিষ্ট ধর্মকে বাদ দেয়। ’
বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন বিল’র (সিএবি) ঘটনায় কারফিউ, বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে আসাম, বাংলার একাধিক জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট আর দক্ষিণ দিল্লিতে ১৪৪ ধারা জারি। এককথায়, প্রতিবাদে উত্তাল এখন ভারত।
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে যে আওয়াজ উঠেছিল, তা থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় লাঠিচার্জ করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের ভিতর কাঁদানে গ্যাসও ছুঁড়েছে। আম জনতা থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, এমনকী আন্তর্জাতিক স্তরের ছাত্রছাত্রীরাও রাজপথে নেমেছেন প্রতিবাদে। রূপম গাইছেন- ‘ওহে আমার দেশের যুবদল, হও যুদ্ধে যুদ্ধে সবল…। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
ওএফবি