ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

তাপস পালকে মেরে ফেলা হয়েছে, অভিযোগ স্ত্রী নন্দিনীর

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২০
তাপস পালকে মেরে ফেলা হয়েছে, অভিযোগ স্ত্রী নন্দিনীর

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের বান্দ্রার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কলকাতার বর্ষীয়ান অভিনেতা তাপস পাল। স্নায়ু এবং রক্তচাপের সমস্যায় ভুগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু তাপসের মৃত্যুর দুই সপ্তাহ পর তার স্ত্রী নন্দিনী অভিযোগ করলেন, জনপ্রিয় এই অভিনেতাকে মেরে ফেলা হয়েছে! হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তাই ন্যায়বিচার দাবিতে বর্তমানে তিনি মুম্বাইয়ে অবস্থান করছেন।

 

পশ্চিমবঙ্গের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নন্দিনী এ দাবি করেন। তিনি বলেন, আমার স্বামীকে ওই হাসপাতাল মেরে ফেলেছে। আমি এর ন্যায়বিচার চাইতে মুম্বাইয়ে এসেছি।

তাপসের স্ত্রী জানান, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বান্দ্রার একটি হাসপাতালে তাপসকে ভর্তি করা হলে চিকিৎসা শুরু করার আগেই ৫০ হাজার রুপি জমা দিতে বলা হয়। টাকা না পেলে চিকিৎসা শুরু হবে না বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, দাবি নন্দিনীর। মধ্য রাতে এত টাকা না থাকায় মেয়ের বাড়িওয়ালার সাহায্যে তা ব্যবস্থা করে তাপসের ভেন্টিলেশনে দিতে হয় বলেও জানান তিনি।

নন্দিনী আরও অভিযোগ করেন, ভর্তি থাকা অবস্থায় তাপস পালকে হাসপাতালের পক্ষ থেকে ঠিকমতো খেতে দেওয়া হত না। বিষয়টি নিয়ে তার মেয়ের সঙ্গে নার্সদের কথা কাটাকাটি হয়েছে। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ফের অসুস্থ হয়ে যান তাপস।  

হঠাৎ একদিন হাসপাতালে তাপস পালকে বেঁধে রাখতে দেখেন নন্দিনী। কারণ জানতে চাইলে, শিফটিংয়ের কারণে তাকে নজরে রাখার লোক নেই বলেন হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় বলে দাবি তার।  

এসব ঘটনার কারণে তাপসকে ১৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিলেন নন্দিনী। কিন্তু এর আগেই ‘দাদার কীর্তি’খ্যাত এই অভিনেতা পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় বলে জানান তিনি।  

হাসপাতালের এমন অবহেলার কারণে তাপসের মৃত্যু হয়েছে বলেই নন্দিনীর দাবি। তাই কোনো ছাড় না দিয়ে, এর ন্যায়বিচার আদায় করবেন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২০
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।