ঢাকা, রবিবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩২, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজন ১১৭ বিলিয়ন ডলার: পরিবেশ উপদেষ্টা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৫২, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫
জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজন ১১৭ বিলিয়ন ডলার: পরিবেশ উপদেষ্টা বক্তব্য রাখছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা ‘এনডিসি ৩.০’ বাস্তবায়নে মোট ১১৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এর মধ্যে ২৫ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন শর্তহীন এবং ৯০ দশমিক ২৩ বিলিয়ন শর্তসাপেক্ষ বিনিয়োগ ধরা হয়েছে।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে ‘থার্ড ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশান (এনডিসি ৩.০) ভ্যালিডেশন ওয়ার্কশপে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩৫ সালের মধ্যে ৮৪ দশমিক ৯২ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন (৬.৩৯%) শর্তহীনভাবে এবং ৫৮ দশমিক ২ মিলিয়ন টন (১৩.৯১%) শর্তসাপেক্ষে কমানোর রোডম্যাপ তৈরি হয়েছে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এনডিসি ৩.০ কেবল নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনা নয়; বরং এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সংগত ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকার। ’

এজন্য নারী, শিশু, প্রবীণ, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও জলবায়ু-অভিবাসীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তি, সবুজ উদ্যোক্তা, গবেষণা ও সচেতনতা কার্যক্রমের মাধ্যমে তরুণদের সম্পৃক্ত করা গেলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য, পানি-স্যানিটেশন, শিক্ষা, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা ও অবকাঠামো—সব খাতকে জলবায়ু সহনশীল করতে হবে। এজন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় জলবায়ু শিক্ষা ও সবুজ দক্ষতা যুক্ত করার পাশাপাশি জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে ‘জাস্ট ট্রানজিশন’ নিশ্চিত করতে হবে। এতে শ্রমিকদের পুনঃপ্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করা হবে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, বেসরকারি খাত, গবেষক ও নাগরিক সমাজ—সবার অভিন্ন প্রচেষ্টা ছাড়া টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। ’

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ও অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ। সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান। কর্মশালা পরিচালনা করেন যুগ্মসচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ধরিত্রী কুমার সরকার।

উন্মুক্ত আলোচনায় দেশি-বিদেশি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এবং উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিনিধি অংশ নেন।

পিএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।