বুধবার (১৬ মে) এই মহাবিপন্ন শকুন সংরক্ষণে সচেতনতামুলক সভা অনুষ্ঠিত হয় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার গুলনীবস্তী গ্রামে।
ইউএসএইড’র ক্রেল প্রকল্পের আওতায় সিএনআরএস এই সভার আয়োজন করে।
সভায় বলা হয়, বাংলাদেশে ৭ প্রজাতির শকুনের দেখা পাওয়া যেতো। এরমধ্যে বাংলা শকুন ও সরুঠুটি শকুন আবাসিক শকুন হিসেবে পরিচিত। বাংলা শকুন এক সময় সারাদেশে বিস্তৃত ছিল। আইইউসিএন এটিকে মহাবিপন্ন পাখির তালিকায় স্থান দিয়েছে।
শকুন বিলুপ্তির জন্য পশু চিকিৎসায় ডায়ক্লোফেনাক ও কিটোপ্রোফেন জাতীয় ওষুধের ব্যবহার ও আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াকে দায়ী করা হয়।
শকুন সংরক্ষণ বিষয়ক সচেতনতামূলক সভায় খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যবস্থাপনা নির্বাহী কমিটির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমিনুর রহমান চৌধুরী, সহ-ব্যবস্থাপনা নির্বাহী কমিটি, খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানের সভাপতি মুর্শেদ আহমেদ চৌধুরী, সিলেট রেঞ্জ, সিলেট বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা দেলোয়ার রহমান, প্রাণী সম্পদ দফতরের কর্মকর্তা রতন চন্দ্র, রাতারগুল সহ-ব্যবস্থাপনা সাধারণ কমিটির সদস্য মো. আব্দুল করিম শিকদার, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল গউছ, গুলনী চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. আছাদুজ্জামান, চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির প্রতিনিধি, গুলনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও গ্রামবাসী ও গণমাধ্যম কর্মী শেখ নাসির।
ক্রেল প্রকল্প প্রতিনিধি এসএম মামুনের সঞ্চালনায় সচেতনতামূলক সভায় শকুন বিলুপ্তির কারণ, সংরক্ষণে সচেতনতা, আবাসস্থল রক্ষা ও পশু চিকিৎসায় ক্ষতিকারক ডায়ক্লোফেনাক ও কিটোপ্রোফেন জাতীয় ওষুধের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধে উপস্থিত গ্রামবাসীরা প্রতিশ্রুতিবন্ধ হন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৮
এনইউ/এএটি