ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া খালে চার কুমির অবমুক্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া খালে চার কুমির অবমুক্ত

বাগেরহাট: সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের হাড়বাড়িয়া খালে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের চারটি কুমিরের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে কুমিরের বাচ্চাগুলো অবমুক্ত করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- একই মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক আমীর হোসেন চৌধুরী, মোংলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মদিনুল আহসান, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহমুদুল হাসান,  সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) বশিরুল আল মামুন, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির প্রমুখ।

 পরে মন্ত্রী বেনর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। বনের চলমান সমস্যা নিরসন ও পর্যটক আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।

ডিএফও মদিনুল আহসান বলেন, সুন্দরবনের নদ-নদীতে কুমিরের সংখ্যা বৃদ্ধি করে প্রতিবেশ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র থেকে চারটি কুমির হারবাড়িয়া খালে অবমুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি নারী ও একটি পুরুষ কুমির রয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও কুমির সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে অবমুক্ত করা হবে।

জানা যায়, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে ২০৭টি কুমির রয়েছে। এদের মধ্যে আট থেকে নয় বছর বয়সী ৩৩টি কুমির আছে। যারমধ্যে ২৫টি নারী ও আটটি পুরুষ। এদের থেকে তিনটি নারী ও একটি পুরুষকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ পরিবার বিবেচনায় ভদ্রা নদীতে অভমুক্ত করা হয়েছে। এ নদীতে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ রয়েছে।  

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবনের ভদ্রা খালে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের চারটি কুমিরে অবমুক্ত করেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।