বরগুনা: বরগুনায় পৌর মাছ বাজারে রাতের আঁধারে ২৫০ গ্রাম ওজনের নিষিদ্ধ শাপলাপাতা মাছ বিক্রি হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বরগুনা পৌরসভার মাছ বাজারে প্রকাশ্যে ছোট আকারের নিষিদ্ধ এই মাছ বিক্রি হয়।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী শাপলাপাতা মাছ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও উপকূলীয় জেলা বরগুনার পাথরঘাটা, আ'মতলী, তালতলীর, বামনা, সদর উপজেলা ও বেশ কিছু ছোট বড় পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে এই মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কেজি প্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনছেন ক্রেতারা। এত ছোট মাছ এভাবে নিধন চলতে থাকলে এক সময় শাপলাপাতা মাছ বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রচলিত আইনে এই মাছ ধরা বা বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই মাছ প্রজাতি ভেদে ৮০০ কেজি ওজন পর্যন্ত হয়।
বঙ্গোপসাগরের মোহনা ও সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় বরশি দিয়ে স্বীকার করা হয় এই মাছ। সমুদ্রবেষ্টিত অঞ্চলের মানুষের কাছে খুবই সুস্বাদু ও জনপ্রিয় মাছ শাপলা পাতা। তবে স্থানীয় জেলেদের দাবি, শাপলাপাতা মাছ বেচাকেনা নিষিদ্ধের বিষয়ে তারা জানে না।
পৌর মাছ বাজারের দুই মাছ বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয় মাছের আড়ৎ থেকে এই মাছ পাইকারি দরে কিনে খুচরা বিক্রি করছি। এই মাছ নিষিদ্ধ কিনা আমাদের জানা নাই তবে দীর্ঘদিন ধরে আমরা ক্রয়-বিক্রয় করে আসতেছি। কেউ আমাদের কোনো বাধা সৃষ্টি করে না।
বরগুনা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামকে শুক্রবার দিবাগত রাতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বাংলানিউজকে জানান, শাপলাপাতা মাছ ধরা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে নিষিদ্ধ। যদি কোনো জেলে শালপাতা মাছ ধরে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও জানান, মাছটির আকৃতি শাপলা পাতার মতো হওয়া এটি শাপলা পাতা মাছ নামে পরিচিত। বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০০ প্রজাতির শাপলাপাতা থাকলেও বাংলাদেশে ৫৬ প্রজাতির শাপলাপাতা মাছের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
আরএ