ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

আপন স্বভাবে ফিরল লজ্জাবতী বানরটি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
আপন স্বভাবে ফিরল লজ্জাবতী বানরটি লজ্জাবতী বানর।

হবিগঞ্জ: সুস্থ হয়ে উঠছে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় লোকালয় থেকে থেকে উদ্ধার হওয়া লজ্জাবতী বানরটি। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে বানরটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

প্রাণীটিকে কলা, আপেল ও গাজর খাওয়ানো হচ্ছে।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাতে কার্যালয়ের ফরেস্টার তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী জানান, উদ্ধারের পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে বানরটি আতঙ্কিত ছিল। খাঁচার একটি কোনে বসে থাকতো। শুক্রবার রাত থেকে এটি হাঁটাচলা শুরু করেছে। এছাড়াও বানরটি তার স্বভাবসুলভ আচরণ করছে।

তিনি আরো জানান, আপাতত লজ্জাবতী বানরটিকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। শুধু খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রেখে এটিকে চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হবে।

গত ১৯ এপ্রিল বানরটি বনাঞ্চল থেকে পথ হারিয়ে লোকালয়ে চলে যায়। কিছু লোক বানরটির ওপর আক্রমণ করে। পরে মাধবপুর উপজেলার কমলপুর গ্রামের শিমুল মিয়া নামে এক তরুণ সেটিকে উদ্ধার করে নিয়ে বাড়িতে রাখেন। পরে বন বিভাগ বৃহস্পতিবার এটিকে উদ্ধার করে।

লজ্জাবতী বানর বা বেঙ্গল স্লো লরিসকে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) ২০২০ সালের তালিকায় সংকটাপন্ন (রেড লিস্ট) প্রজাতি হিসেবে দেখানো হয়েছে।

লজ্জাবতী বানর ছোট আকারের। এটি বেঙ্গল স্লো লরিস নামে পরিচিত। স্তন্যপায়ী শ্রেণীর লরিসিডি পরিবারের সদস্য এই বানর বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনের তফসিল-১ অনুসারে সংরক্ষিত প্রাণি।

লজ্জাবতী বানরের বৈজ্ঞানিক নাম Nycticebus bengalensis। এরা নিশাচর প্রাণী। এই বানর দিনের বেলায় গাছের উঁচু ডালে নিজেদের আড়াল করে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকে। লজ্জাবতী বানর কচি পাতা, পোকা-মাকড়, পাখির ডিম খেয়ে থাকে।

আরো পড়ুন >>> লোকালয় থেকে লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।