ঢাকা: চিড়িয়াখানা নিয়ে মানুষের উৎসাহের যেন কমতি নেই। সৃষ্টির রূপ খোঁজার পিপাসা নিয়েই প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চিড়িয়াখানায় ভিড় জমায়।
খাঁচায় বন্দি প্রাণীদের খুব কাছ থেকে দেখার বাসনা মানুষের স্বভাবজাত। জাতীয় চিড়িয়াখানা আধুনিকতার দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও আয়তনে বিশ্বে চতুর্থ। তবে সময়ের ব্যবধানে পরিবর্তনও এসেছে বেশ।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সরেজমিনে জাতীয় চিড়িয়াখানার গিয়ে দেখা যায়, শীতে অনেকটাই কাবু পশুপাখিরা। শীতের কারণে কিছু সংখ্যক পশুপাখি শরীর ফুলিয়ে জবুথবু মেরে বসে আছে, তাদের মধ্যে পাখি, বানর, উটপাখি, ময়ূর, বাজরিগরসহ নানা রকমের পাখি রয়েছে।
এ অবস্থায় শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের খাঁচার চট (বস্তা), ভেতরে খড়ের ও বালুর ব্যবস্থা করায় কিছুটা রক্ষা পাচ্ছে পশুপাখিরা। পাশাপাশি ছোট বস্ক তৈরি করে দেওয়া হয়েছে খাঁচার ভেতরে। শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা করতে বনের পশুদের মতো দৌড়ঝাঁপ করে শীত তাড়ানোর উপায় নেই চিড়িয়াখানার প্রাণীদের।
চিড়িয়াখানার পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এবার শীত পড়ার আগে থেকেই পশুপাখিরা যাতে কষ্ট না পায় সেজন্য নানা ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। যেমন পাখিদের খাঁচার ভেতর ছোট ছোট বক্স তৈরি করে দিয়েছি, পাশাপাশি বালু খড় ও চটের বস্তা খাঁচা ঘিরে রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, এখনো পর্যন্ত শীতের কারণে চিড়িয়াখানার একটা পশুও অসুস্থ হয়নি। পশুপাখিদের শরীর গরম রাখার জন্য খাবারের মান বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি নানা ধরনের ভিটামিন খাওয়ানো হচ্ছে তাদের।
তিনি বলেন, জাতীয় চিড়িয়াখানা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য আমরা আলাদাভাবে নানা ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। আগামী মার্চ মাস থেকে কোনো দর্শনার্থীদের খাবার নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। চিড়িয়াখানার মধ্যে পর্যটন কর্পোরেশনের দুটি ক্যান্টিন আছে। আমরা আরও ক্যান্টিন বাড়ানোর চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময় : ১৪৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৪
জিএমএম/এসএএইচ