১৯৭৫ – ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পরামর্শে ভারতের সংবিধানের ৩৫২ ধারা অনুযায়ী 'জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। ২৫ জুন ১৯৭৫ রাত ১২টার পর অর্থাৎ ২৬ জুন থেকে জরুরি অবস্থাটি প্রকাশ্যে কার্যকর হয়।
জরুরি অবস্থার সময় সংবাদপত্রে সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়। বিরোধী দলগুলোর নেতাদের আটক করা হয় (আটক হন: অটল বিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আদভানী, জর্জ ফার্নান্ডেজ প্রমুখ)। সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ইন্দিরা গান্ধীর ক্ষমতা আরও দৃঢ় হয়। নির্বাচন স্থগিত ও বেসামরিক অধিকার সীমিত করে দেওয়া হয়। জরুরি অবস্থা চলে ২৬ জুন ১৯৭৫ থেকে ২১ মার্চ ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত, মোট ২১ মাস। জনগণের অসন্তোষ ও চাপের মুখে ১৯৭৭ সালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ইন্দিরা গান্ধীর কংগ্রেস দল পরাজিত হয় এবং জনতা পার্টি সরকার গঠন করে। এটি ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত ও অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়।
১৯৪৫ – জাতিসংঘ সনদ এই দিনে, অর্থাৎ ২৬ জুন ১৯৪৫, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা ও ধ্বংসের পর বিশ্বশান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষরিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো শহরে। এতে ৫০টি দেশ স্বাক্ষর করে (পরে পোল্যান্ড যুক্ত হয়ে সংখ্যাটি হয় ৫১), এবং এর মধ্য দিয়েই জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পথ আনুষ্ঠানিকভাবে তৈরি হয়।
১৯৪৮ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিকে চারটি দখলদার অঞ্চলে ভাগ করা হয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে। বার্লিন শহরটি যদিও সোভিয়েত অংশের ভেতরে ছিল, তবুও এটিকেও চারটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছিল। সালের ২৪ জুন, সোভিয়েত ইউনিয়ন বার্লিনে প্রবেশের সকল স্থলপথ ও রেলপথ বন্ধ করে দেয়। যার উদ্দেশ্য ছিল পশ্চিম বার্লিনকে নিঃশেষ করে ফেলা এবং পশ্চিম মিত্রদের সেখান থেকে হটানো।
এর জবাবে ২৬ জুন ১৯৪৮ থেকে ১২ মে ১৯৪৯ পর্যন্ত, পশ্চিম মিত্রশক্তি বিমানযোগে প্রয়োজনীয় খাবার, জ্বালানি, ওষুধ ও অন্যান্য পণ্য পশ্চিম বার্লিনে পাঠাতে থাকে। প্রতিদিন গড়ে ১,৫০০-২,০০০টি ফ্লাইট বার্লিনে যেতো। প্রায় ২.৩ মিলিয়ন টন মালামাল সরবরাহ করা হয়। একে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মানবিক বিমান সহায়তা অভিযানের একটি হিসেবে ধরা হয়।
১৯৫০ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোরিয়া উপদ্বীপকে ৩৮তম সমান্তরাল রেখা ধরে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। উত্তরাংশে সোভিয়েত-সমর্থিত উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণাংশে মার্কিন-সমর্থিত দক্ষিণ কোরিয়া। ২৫ জুন ১৯৫০, উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার ওপরে হামলা শুরু করে। ২৬ জুন থেকে যুদ্ধ পুরোদমে ছড়িয়ে পড়ে। জাতিসংঘ দ্রুত দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে হস্তক্ষেপ করে। যুদ্ধ চলে ২৭ জুলাই ১৯৫৩ পর্যন্ত, অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে শেষ হয়, কিন্তু আজও কোনো শান্তি চুক্তি হয়নি।
১৯৭৪ – পাকিস্তান আমলে ১৯৫৭ সালে ‘এন্টি-করাপশন অ্যাক্ট’ প্রণয়ন করা হয় এবং ‘এন্টি-করাপশন ডিপার্টমেন্ট’ গঠন করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, সেই কাঠামোর ভিত্তিতেই ১৯৭৪ সালে ‘দুর্নীতি দমন ব্যুরো’ গঠন করা হয়, যা রাষ্ট্রপতির দপ্তরের অধীনে কাজ করত। এটি ছিল একটি প্রশাসনিক সংস্থা, যার কার্যক্রম ছিল সীমিত এবং কার্যকর তদন্তে যথেষ্ট স্বাধীনতা ছিল না। সময়ের সাথে এর ক্ষমতা ও দক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। ২০০৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি, জাতীয় সংসদে পাস হয় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪। এই আইনের আওতায় দুর্নীতি দমন ব্যুরো বিলুপ্ত হয়ে গঠন হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন কটি স্বাধীন ও স্বশাসিত সংস্থা হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে।
এমএম