ঢাকা: পরিবেশবান্ধব শহর বলতে যা বোঝায় সবই আছে এ শহরে। শহর না বরে অবশ্য বলা যায় শহুরে বন।
একজন ডাচ স্থপতি তৈরি করেছেন বিশ্বের প্রথম শতভাগ পরিবেশবান্ধব শহর। তবে আমরা যেসব শহরে থেকে অভ্যস্ত এটি মোটেও তেমন কোনো শহর নয়।

স্থপতি রেইমন্ড ডি হালুর ডিজাইন করা ভবিষ্যতের এ শহরে মানুষ বসবাস করবে ব্যবহার্য কাঠ থেকে তৈরি ট্রি-স্ক্রিপারে। সুরক্ষা ও শক্তি সংরক্ষণের জন্য যা ঢাকা থাকবে সবুজ পাতা দিয়ে।
ওয়েসিস ফাউন্ডেশনের ডিজাইন অনুযায়ী চারতলা বিশিষ্ট এ ভবনগুলোতে থাকবে সৌর প্যানেল। বাড়িগুলোতে শোভা পাবে সাধারণের তুলনায় তিনগুণ বেশি চাকচিক্যময় বড় জানালা, কাচের হল ও ফ্রেঞ্চ বারান্দা।

ওয়েসিস জানায়, শতভাগ সবুজে বসবাসের জন্য শুধু স্থাপত্য স্তরই নয়, বরং শহুরে স্তরেরও প্রয়োজন। যা কাঙ্ক্ষিত ও সাশ্রয়ী।
রেইমন্ড জানান, ট্রি হাউসগুলো এমন হবে যাতে আধুনিক বিলাসিতা ও সবুজের সমন্বয় ঘটবে। এই ধারণাটি সার্বজনীন। একইসঙ্গে শহর ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য- উভয়ের জন্যই গ্রহণযোগ্য।
রেইমন্ড হল্যান্ডের গ্রামে বেড়ে উঠেছেন। অধিকাংশ সময়ই সমুদ্র সৈকত নিকটবর্তী বনে সময় কাটিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, বনে ঘুরে বেড়ানোর জন্যই আমি প্রকৃতি ভালোবাসি। আর যখন আমার বাবা একটি বাড়ি বানালো, তখন আমি স্থাপত্যবিদ্যার প্রেমে পড়ে যাই।
তিনি আরও জানান, প্রকৃতি ও স্থাপত্যবিদ্যা উভয়ই আমাকে মুগ্ধ করে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৫
এএ