ঢাকা: ধারণা করা হয় মাশকো পিরো আমাজনের বিপন্ন আদিবাসীদের মধ্যে শেষ উদাহরণ। আধুনিক সভ্যতা আর নগরায়নের ছোঁয়া না লাগা এই আদিবাসীরা ব্রাজিল সীমান্তবর্তী পেরুর জঙ্গলে বাস করে।

গোষ্ঠীবদ্ধ জীবন যাপনে অভ্যস্ত মাশকো পিরো সদস্যদের দেখা মেলা ভার। তবে কদাচিৎ তারা খাবার ও হাতিয়ার সংগ্রহের আশায় জঙ্গলের বাইরে চলে আসে।
সম্প্রতি এরকম কিছু মুহূর্তের দুর্লভ ছবি আটকে গেছে গবেষকদলের ক্যামেরায়। ছবিতে দেখা যায় আমাজনের মাদ্রে দে দিওস নদীর তীরে বসে আছে এই আদিবাসী গোষ্ঠীর কয়েক সদস্য।
জঙ্গলপথে মাদকপাচার ও পর্যটকদের ভিড় বাড়ায় মাঝেমধ্যেই পাশ্ববর্তী গ্রামগুলোতে খাবার ও হাতিয়ার সংগ্রহে হানা দিচ্ছে মাশকো পিরোরা। এ বছরে বহুবার তাদের জঙ্গলের বাইরে দেখা গেছে। এর আগে কখনোই এতো সহজে তাদের দেখা মিলতো না।
এর আগে ২০১১ সালে কেপটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জ্য পল ভ্যান বেলের ক্যামেরায় ধরা পড়ে এই আদিবাসীদের ছবি। অধ্যাপক বেলে একটি নৌকায় ভ্রমণ করার সময় দেখতে পান, মাশকো পিরো সদস্যরা কৌতূহলী চোখে তাকে দেখছে।
গবেষকরা জানান, শুকনো মৌসুমে কচ্ছপের ডিমসহ বিভিন্ন খাবারের সন্ধানে তারা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসে। এ সময় তারা নদী থেকে খাবার পানিও সংগ্রহ করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পেরুর সরকার এই আদিবাসী সম্প্রদায়টির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে। এর আগে স্থানীয় কয়েকজন গাইড মাশকো পিরোদের ছোড়া তীরে প্রাণ হারান। ইদানিং খাবারের লোভে অনুসন্ধানী দলের সদস্য ও গবেষকদের সংস্পর্শে আসছে বিপন্ন এ আদিবাসী গোষ্ঠীর সদস্যরা।
আধুনিক নগর সভ্যতার সুযোগ-সুবিধা, খাবার ও বেশভূষা তাদের দীর্ঘদিনের অভ্যাস ও টিকে থাকার ক্ষমতার জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে বলে মত দিয়েছেন গবেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৫
এসইউ