ঢাকা: পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর শহর বার্সেলোনা। স্থানটি বরাবরই জায়গা করে নিয়েছে ভ্রমণপিপাসুদের হৃদয়ে।
লা সাগ্রাদা ডি ফ্যামিলিয়া বা মেল্টিং গির্জা
গির্জার নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৮৮২ সালে। অনুমান করা হয়, ২০৪১ সাল নাগাদ এর কাজ শেষ হবে। গির্জার মূল আকর্ষণ- ১৮০ মিটার উঁচু একটি টাওয়ার। এর শীর্ষে থাকবে যিশুর প্রতিনিধিত্বকারী একটি মেষশাবক।
লা ডায়াডা ডি সান জোর্ড
বার্সেলোনার প্রসিদ্ধ একটি উৎসব। এদিন কাছের মানুষদের বই আর গোলাপ উপহার দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এ উৎসব থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ইউনেস্কো এপ্রিলের ২৩ তারিখকে ‘বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস’ ঘোষণা করে।
বার্সেলোনিতা
ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফির মতে, বার্সেলোনার সমুদ্র সৈকত বার্সেলোনিতা বিশ্বের সেরা শহুরে সমুদ্র সৈকত। তবে ১৯৯২ সালের অলিম্পিক খেলার সময় শহরে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার আগে সেখানে পর্যটনদের তেমন আনাগোনা ছিলো না।
রাজকীয় স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শহর
বার্সেলোনাই প্রথম এবং একমাত্র শহর যা অনন্য স্থাপত্য সৌন্দর্যের জন্য ১৯৯৯ সালে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের পক্ষ থেকে রাজকীয় স্বর্ণপদক পেয়েছে।
লা রাম্বালাস
বার্সেলোনার অন্যতম বিখ্যাত সড়ক লা রাম্বালাস শেষ হয়েছে কলম্বাসের একটি ভাস্কর্য দিয়ে। মনে করা হয়, কলম্বাসের বিস্তৃত হাতের আঙুল আমেরিকার দিকে নির্দেশ করছে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে এ আঙুল নির্দেশ করছে পার্শ্ববর্তী সমুদ্র সৈকতকে। আমেরিকার পথে কলম্বাসের প্রথম সমুদ্রযাত্রার প্রতি সম্মান জানাতে ১৮৮৮ সালে এটি নির্মাণ করা হয়।
পোর্তাল ডি এল’অ্যাঞ্জেল
স্পেনের সবচেয়ে ব্যস্ত সড়কগুলোর একটি। এখানে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে তিন হাজার পাঁচশো মানুষ ভিড় জমায়। তাদের বেশির ভাগই পর্যটক। ২০১৪ সালে পরিচালিত এক অনুসন্ধানে দেখা যায়, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল জায়গাগুলোর একটি। যার প্রতি বর্গ ফুট জায়গার দাম গড়ে তিনশো ৮৪ মার্কিন ডলার।
অাইফেল টাওয়ার নির্মাণ হওয়ার কথা ছিলো বার্সেলোনায়
গুস্তাভ আইফেলের তিনশো মিটার উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের জন্য প্রথম পছন্দ ছিলো বার্সেলোনা। কিন্তু পরবর্তীতে এটি প্যারিসে নির্মিত হয়।
ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং স্থাপত্যকলায় পরিপূর্ণ জাদুকরী নগর বার্সেলোনা। যতোবারই আপনি বার্সেলোনায় যান না কেন, এর রহস্যময় সৌন্দর্য কখনই আপনাকে ক্লান্ত হতে দেবে না। বরং প্রতিবারই আপনি খুঁজে পাবেন নতুন কিছু!
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৬
এসএমএন/এসএনএস