ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ষড়যন্ত্রের রাজনৈতিক মেরুকরণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
ষড়যন্ত্রের রাজনৈতিক মেরুকরণ লর্ড ক্লাইভ ও মীর জাফর

২৩ জুন ১৭৫৭ সাল। কয়েক ঘণ্টার ‘তথাকথিত-যুদ্ধ’ নামের প্রহসনে পাল্টে গেল বাংলার এবং দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ভাগ্য। যুদ্ধের বহুমাত্রিক রাজনৈতিক ধারার ঐতিহাসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে পলাশীর ২৬০ বছর পূর্তিতে পূর্বাপর ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরছেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-এর কন্ট্রিবিউটিং এডিটর ড. মাহফুজ পারভেজ। পড়ুন অষ্টম পর্ব

পলাশীর ঘটনার আগেই সিরাজ বিরোধী রাজনৈতিক মেরুকরণ সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করা হয়। বিদ্রোহী শওকত জং এবং ষড়যন্ত্রের ইন্ধনদাতা ইংরেজদের পতন সাধন করে কলকাতা বিজয় শেষে সিরাজ যখন রাজধানী মুর্শিদাবাদে ফিরে আসেন, তখন চক্রান্তের নতুন ছকের মাধ্যমে সর্বশেষ খেলা শুরু হয়।

 

পতিত ও পরাজিত শওকত জং-এর অস্তিত্বহীন অবস্থায় সিরাজ নিধনে ইংরেজদেরকে একমাত্র শক্তিধররূপে দৃশ্যপটে পাওয়া যায়। মীরজাফরকে জগৎশেঠ বুঝাতে সক্ষম হয় যে, ইংরেজদের সাহায্য ছাড়া সিরাজকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করা যাবে না। অতএব জগৎশেঠের দূতিয়ালীতে মীরজাফর ও ইংরেজদের মধ্যে নৈকট্য বৃদ্ধি পায় এবং ষড়যন্ত্রের গভীর জাল বিস্তৃতি লাভ করে।

উল্লেখ্য, সিরাজ কর্তৃক কলকাতা হতে ইংরেজরা ছত্রভঙ্গ হওয়ার পর অধিকাংশই নদীপথে পালিয়ে যায়। কলকাতার ইংরেজ কুঠির প্রধান ড্রেক অন্য কয়েকজন ইংরেজসহ দক্ষিণ দিকে মাদ্রাজে পলায়ন করে। তখন ক্লাইভ দক্ষিণ অঞ্চলের শাসক নাজিম সালামত জং-এর পক্ষে ফরাসিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ করে ফিরছিল। ড্রেক ও কলকাতা থেকে পালিয়ে আসা অন্য ইংরেজরা মাদ্রাজের কুঠির ইংরেজদের সঙ্গে মিলিত হয়ে পরামর্শপূর্বক সাব্যস্ত করে যে, ক্লাইভ বাংলা থেকে পলায়িত ইংরেজদের সঙ্গে কলকাতা যাবে। বাংলার আমিরদের মধ্যে অসন্তুষ্টির সংবাদ পেয়ে ক্লাইভ নবাব সিরাজের কলকাতাস্থ গভর্নর মানিকচাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং তাকে পরাজিত ও পলায়নে বাধ্য করে কলকাতা পুনর্দখল করে। ইংরেজরা ভারতের বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত স্বজাতির সৈন্যদের একত্রিত করে ব্যাপক শক্তি সঞ্চয় ও শক্তিশালী দুর্গ নির্মাণ করে। বাংলার শাসকদের মধ্য থেকে উস্কানি এবং গোপনে সাহায্য পাওয়ার আশ্বাসে ইংরেজরা নবাব সিরাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং পরবর্তীতে আরো যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। এক্ষেত্রে জগৎশেঠের মাধ্যমে মীরজাফর ও ইংরেজের মধ্যে মৈত্রী স্থাপিত হওয়ায় ইংরেজরা বাংলার রাজনীতিতে সদর্পে অনুপ্রবেশের সাহস, সুযোগ ও পথ পায়। পুরনো চন্দননগরইংরেজ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নবাব সিরাজ সাধ্যমত প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চালান। কলকাতা পতনের সংবাদ পেয়ে নবাব রাজধানী মুর্শিদাবাদ থেকে সসৈন্যে কলকাতার উপকণ্ঠে কারহাটির বাগানে শিবির স্থাপন করেন। ইংরেজরা বিপুল বিক্রমে শক্তিশালী কামান, গোলা ইত্যাদির সাহায্যে নৈশ আক্রমণ করে। এক্ষণে নবাব প্রতিপক্ষ ইংরেজ পক্ষের শক্তি বৃদ্ধি এবং নিজের বাহিনীর বিশৃঙ্খলা টের পান। নিজের অবস্থা সুসংহতকরণার্থে উদ্বিগ্ন নবাব আপাতত যুদ্ধ না করে রাজধানী মুর্শিদাবাদে ফিরে আসেন। মুর্শিদাবাদে নবাব অদ্ভূত অবস্থা দেখতে পান;  জগৎশেঠ ছিলেন অত্যন্ত তৎপর আর অন্যান্যরা নিরুদ্বিগ্ন যেন দেশে কোন বিদেশি আক্রমণই করেনি।

রিয়াজে উল্লেখিত বিবরণে জানা যায়, সিরাজ কতিপয় আমির ও সেনাপতিকে অসন্তুষ্ট দেখেন। এদের মধ্যে সর্বপ্রধান ছিলেন মীর মুহম্মদ জাফর খান বাহাদুর। তিনি পূর্বে প্রধান সেনাপতি ছিলেন। কিন্তু নানা অযোগ্যতার জন্য তার পরিবর্তে খাজা হাদী আলী খানকে প্রধান সেনাপতি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। প্রধান সেনাপতি খাজা নিজেও বাড়িতে দুয়ার বন্ধ করে বসে ছিলেন। মীর জাফরের প্রাসাদের সামনে বড় বড় কামান সাজিয়ে সিরাজ তার অট্টালিকা ভূমিস্মাৎ করার উদ্যোগ নেন এবং তাকে নগর ত্যাগ করতে আদেশ দেন।

এই পর্যায়ে এসে নবাব সিরাজ কালবিলম্ব করেন এবং গুপ্ত শত্রুদের ফাঁদে ধরা দেন। দেশ যখন শত্রু পরিবেষ্টিত এবং শত্রু আক্রমণের মুখে তখন ভেতরের শত্রুদের দমনে সিরাজ কিছুটা ব্যতিব্যস্ত ও বিভ্রান্তও হন বটে। মীরজাফর মূল ষড়যন্ত্রকারী জগৎশেঠের ইঙ্গিতে দৃশ্যত নবাবের কাছে নতি স্বীকার করেন এবং নানা রকমের কৈফিয়ত দিয়ে ক্ষমা চান ও নবাবের পক্ষে লড়াই করার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। সিরাজ সরলভাবে পুরো বিষয়টিকে দেখে আশ্বস্ত হন এবং মীরজাফরকে নিষ্কৃতি দিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহযাত্রী হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। এই সুযোগে জগৎশেঠ পারস্পরিক প্রতিজ্ঞা ও প্রতিশ্রুতি দ্বারা চূড়ান্তভাবে ষড়যন্ত্র নকশা অনুমোদন করিয়ে নেয় এবং আরো সেনাপতিদের দলভুক্ত কিংবা হীনবল করতে চেষ্টা চালায়। ইব্রাত-ই-আরবার-ই-বসর গ্রন্থে উল্লেখিত হয়েছে যে, এই ষড়যন্ত্রের প্রধান নায়ক জগৎশেঠ সেনাপতি মীরজাফর, দুলাব রাম (জানকী রামের পুত্র), ঘসেটি বেগম (আলীবর্দীর জামাতা নওয়াজেশ মুহম্মদ খানের বিধবা) প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সক্রিয় সহযোগিতা ও পারস্পরিক স্বার্থের বন্ধনে আবদ্ধ করে। চক্রান্ত সফল করতে ঘসেটি বেগমকে এতোটাই প্রলুব্ধ করে যে, জগৎশেঠের পরিকল্পনা অনুযায়ী বেগম তার লুক্কায়িত ও তছরূপকৃত সরকারি অর্থ দিয়ে মীরজাফরকে অকাতরে সাহায্য করে। এবং জগৎশেঠ অতি দ্রুততার সঙ্গে ইংরেজ ও মীরজাফরের মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে দেয়। ফলে মীরজাফর তার অন্যতম বিশ্বস্ত আমির বেগকে পত্র দিয়ে কলকাতায় পাঠায় এবং ইংরেজদের সাহায্য চায়।   সেই মুর্শিদাবাদ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, নবাব সিরাজ কলকাতা দখলের পর এই আমির বেগ কয়েকজন ইংরেজ মহিলাকে ড্রেকের জাহাজে তুলে দেয়। সেজন্য আমির বেগ ইংরেজদের আস্থাভাজন ছিল। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে আমির বেগ মীরজাফরের পক্ষে ক্লাইভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং সিরাজের বিরুদ্ধে কতিপয় কাল্পনিক অভিযোগের বর্ণনা দিয়ে কয়েকজন সম্ভ্রান্ত রাজকর্মচারি স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি/দরখাস্ত/পত্র মীরজাফরের পক্ষে ক্লাইভের কাছে হস্তান্তর করে, যাতে সিরাজের কবল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করার জন্য ইংরেজদের সাহায্য প্রার্থনা করা হয়।

জগৎশেঠ তার কলকাতাস্থ প্রতিনিধি উমিচাঁদ এবং দুলাব রাম ও তার প্রতিনিধিকে উক্ত ষড়যন্ত্র সফল করার উদ্দেশ্যে ইংরেজদের প্ররোচিত করতে নির্দেশ দেয়। মীর জাফর ক্লাইভকে জানান যে, ক্লাইভ কেবল ইংরেজ সৈন্যদের নিয়ে অগ্রসর হলেই মীরজাফর ও তার সহযোগীরা সর্বাত্মক সাহায্য করবে এবং এজন্য ক্লাইভকে তিন কোটি টাকা উপহার দেওয়া হবে। ক্লাইভ সমগ্র পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে দেখতে পেয়ে নিঃসঙ্গ ও একাকী নবাব সিরাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য পলাশীর প্রান্তরে উপস্থিত হয়।

মুতাখখিরিন ছাড়াও এই ষড়যন্ত্রের নানা দিক সম্পর্কে তারিখ-ই- মনসুরীতেও বিস্তারিত বিবরণ লিপিবদ্ধ রয়েছে। ব্লকম্যান তারিখ-ই-মনসুরী থেকে কয়েকটি মন্তব্য Journal of the Asiatic Society †Z (part 1, No. 11, 1867) তে প্রকাশ করেন। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চন্দননগরের ফরাসি গভর্নর এম. রেনল্টের প্রতি বিরাগভাজন টেরানিউ নামক জনৈক ফরাসি কর্মচারি বিশ্বাসঘাতকতা করে এবং তার সাহায্যে ফরাসি অধিকৃত চন্দননগর ক্লাইভ ও ওয়াটসনের হস্তগত হয়। চন্দননগরের পতনের পর মঁসিয়ে ল’ নামক জনৈক ফরাসি সৈন্যাধ্যক্ষ নবাব সিরাজের দরবারে আসে এবং তেলিঙ্গা নামক একটি সৈন্যদল সজ্জিত করে।

ইংরেজরা ষড়যন্ত্র কারীদের ইঙ্গিতে নবাবের উপর চাপ প্রয়োগ করে যে, ইংরেজদের শত্রুকে দরবারে রাখা যাবে না। কিছু পত্র আদান প্রদান করার পর সিরাজ তার দরবারে ঘাপটি মারা ইংরেজ-বান্ধবদের পুন: পুন: চাপে এবং ইংরেজদের সঙ্গে সংঘাত এড়ানোর লক্ষ্যে মঁসিয়ে ল’কে রাজধানী থেকে বিদায় দেন। এই সময় ক্লাইভ নবাবের অনুমতি না নিয়েই কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম সংস্কার ও একটি টাকশাল তৈরি করে।

ইত্যবসরে সিরাজ কর্তৃক দক্ষিণাঞ্চলের ফরাসি সৈন্যাধ্যক্ষ এম. বসি’র নিকট লিখিত কয়েকটি পত্র দরবারের গুপ্ত মিত্রদের তথ্যের ভিত্তিতে ইংরেজরা হস্তগত করতে সক্ষম হয় এবং ইংরেজরা তাদের বিরুদ্ধে নবাব শক্তি সঞ্চয় করছে মর্মে ধারণা লাভ করে। ইংরেজরা এ কারণে নবাবকে যুদ্ধের মাধ্যমে দমন করার কথাও জানাতে থাকে। সামগ্রিকভাবে ইংরেজ ও নবাবের মধ্যে একটি বৈরি ও যুদ্ধংদেহী পরিবেশ সৃষ্টিতে ষড়যন্ত্রকারীরা যে অতি সন্তর্পণে অগ্রসর হচ্ছিল, তা ক্রমেই সফল হতে থাকে।

দুঃখজনক সত্য এটাই যে, চারপাশ থেকে ষড়যন্ত্রকারীরা যে নবাবকে কোণঠাসা করছে তা  জগৎশেঠ, মীরজাফরের তীব্র তোষামোদ ও সাজানো আচরণের জন্য নবাব স্পষ্টত বুঝতে পারছিলেন না এবং বণিক ইংরেজরাও যে কোন্ শক্তির বলে এতোটুকু মাথাচাড়া দিচ্ছে, সেটা শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। উপরন্তু বিদেশি ইংরেজদের কৌশলী সরল ব্যবহার এবং ধীর অথচ নিশ্চিত শক্তি সঞ্চয়পূর্বক অগ্রসর হওয়ার ঘটনা বিশ্লেষণের বদলে ষড়যন্ত্রকারীদের উস্কানিতে নবাব উত্তেজিত হয়ে উঠেন এবং তার ক্রোধ ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। অগ্র-পশ্চাৎ বিবেচনা না করে নবাব রাজধানী মুর্শিদাবাদে ইংরেজ রেসিডেন্টকে ভয় প্রদর্শন করেন এবং ক্লাইভের পাঠানো একটি চিঠি ছিঁড়ে ফেলেন। এ পর্যায়ে নবাবের দরবারে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। নবাব যে একটি পুতুলের মতো দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের খপ্পরে পড়ে গেছেন, তখন পর্যন্ত সেটা বুঝতে তো পারেনই নি বরং ষড়যন্ত্রকারীদের দিকেই ভরসার জন্য তাকিয়ে ছিলেন। ফলে নবাব সভাসদদের ভয়ে ও সামরিক বাহিনীকে হাতে রাখার স্বার্থে ইংরেজ রেসিডেন্টকে খেলাত দিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং ক্লাইভের নিকট কৈফিয়ত দিয়ে পত্র পাঠান।

কিন্তু সিরাজকে সিংহাসনচ্যুত করার ষড়যন্ত্রে ক্লাইভ এবং জগৎশেঠ-মীরজাফর যে চক্র গড়ে তোলে, নবাবের কৈফিয়তমূলক পত্র সেই চক্র ভাঙতে পারেনি। বরং নবাবকে প্রহসন ও তোশামুদির মধ্যে রাখায় গোপনে বিস্তৃত ষড়যন্ত্রের গভীরতা অনুভব করতে পর্যন্ত নবাব ব্যর্থ হয়েছিলেন বলেও কোন কোন ইতিহাসকার মনে করেছেন।

তারিখ-ই-মনসুরী অনুযায়ী, নবাবের চারপাশে অবস্থান করেই জগৎশেঠ, ওয়াটস, মীরজাফর, উমিচাঁদ ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করে এবং সেটা বাস্তবায়ন করতেও সক্ষম হয়। সিয়ার উল মুতাখখিরিনের মতে, (ষড়যন্ত্রকারীরা) চোখের সামনেই সকল কাজ করেছে। কলকাতায় এদের প্রত্যেকেরই এজেন্ট বা প্রতিনিধি ছিল। ক্লাইভ এ সকল এজেন্টের মাধ্যমে দরবারের সকল তথ্য অবগত হত এবং রেসিডেন্ট ওয়াটসের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিত। মূলত একটি সাজানো নাটকের অংশ হিসাবে পুরো ঘটনা-প্রবাহ সিরাজের বিরুদ্ধে চলে যায় এবং নবাব সেটা টেরও পাননি। তার বিরুদ্ধে যে একটি রাজনৈতিক মেরুকরণ ঘটেছে এবং ষড়যন্ত্রকারীদের মৈত্রী সম্পন্ন হয়েছে, সেটা ধরতে বা বুঝতে না পারা সিরাজের রাজনৈতিক দূরদৃষ্টিতার স্বল্পতার প্রমাণবহ এবং সিরাজের এই দুর্বলতাই তার শাসনের দুর্বলতম দিক, যা তাকে পলাশীর মাঠে পতনের শেষ প্রান্তে ঠেলে দিয়ে পরাজিত করে ও মৃত্যু মুখে নিয়ে যায়।

পরবর্তী পর্ব
পলাশী-পরবর্তী রাজনৈতিক পালাবদল

পূর্ববর্তী পর্ব
দুর্ভাগা সিরাজের ভাগ্যলিপি

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।