কুড়িগ্রাম: ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, জিঞ্জিরাম, হলহলিয়া, জালছিঁড়া, কালজানিসহ ১৬টি নদ-নদী বিধৌত সর্ব উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রাম। এ জেলার ভেতর দিয়ে সাপের মতো এঁকে-বেঁকে বয়ে গেছে নদ-নদীগুলো।
এক সময় নদ-নদীগুলোর সৌন্দর্য আর ঐতিহ্যই ছিল রঙ-বেরঙয়ের পাল তোলা নৌকা।
গ্রামবাংলার ঐতিহাসিক নৌপথগুলোতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে চলাচল করা পালতোলা নৌকার জায়গা এখন দখল করে নিয়েছে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত যান্ত্রিক নৌকা বা ট্রলার।
কুড়িগ্রামের ঐতিহাসিক চিলমারী বন্দর দিয়ে বিভিন্ন নদীপথে এ অঞ্চলে এক সময় বাণিজ্য করতে আসতো দেশ-বিদেশের সওদাগরদের বড় বড় পালতোলা নৌকা বা জাহাজ।
সেই সময় এ অঞ্চলে বাণিজ্য করতে আসা সওদাগড়দের বড় বড় পালতোলা নৌকার দেখা এখন না মিললেও মাঝে মাঝে নদ-নদীগুলোর বুকে বাতাসের বিপরীতে তরতরিয়ে চলতে দেখা যায় পাল তোলা ছোট ছোট নৌকা।
তবে নৌকাগুলোর পালগুলোতে এখন আর নেই তেমন রঙ-বেরঙয়ের কাপড় বা রঙয়ের ছটা। কোনোটির পালে দেখা যায় বাড়ির বিছানার চাদর, আবার কোনোটিতে ছেঁড়া-ফাটা কাপড় বা জোড়া-তালি দেওয়া কাপড়।
সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার নানা ঐতিহ্য। তেমনি একটি এ নৌকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
জেডএ