ব্রাহ্মণবাড়িয়া: করোনা মহামারির কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিতাসের শিমরাইলকান্দি গাঁও পয়েন্ট থেকে মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবার পয়েন্ট পর্যন্ত এ বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।
বাইচে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগেই তিতাসের দুই পাড়ে হাজার হাজার মানুষ অবস্থান নেন। দুপুর থেকে দর্শকরা বিভিন্ন ধরনের নৌকা সাজিয়ে ঢাক-ঢোল ও গান বাজিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন।
নৌকাবাইচ উপভোগ করতে আসা দর্শকরা বলেন, নৌকাবাইচ শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া নয়, বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্য। এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবছর নৌকাবাইচ আয়োজন করতে সংশ্লিষ্টদের কাছে এ দাবি জানাচ্ছি।
প্রতিযোগিতার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, জেলার বিজয়নগর, সরাইল, নাসিরনগর, নবীনগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা থেকে মোট ১৩টি নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। প্রথম চারটি ধাপে ১৩টি নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রত্যেকটি ধাপ থেকে একটি করে বিজয়ীসহ চারটি নৌকা চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
বিকেল ৩টার দিকে প্রতিযোগিতার জন্য একের পর নৌকা অনুষ্ঠানস্থলে আসে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের শিমরাইলকান্দি গাঁও থেকে প্রতিযোগিতার উদ্ধোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির।
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জনকারী দলকে এক লাখ টাকা, দ্বিতীয় দলকে স্থান অর্জনকারী দলকে ৬০ হাজার ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলকে ৩০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়া অংশগ্রহণকারী বাকি ১০টি দলের প্রত্যেকটিকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২
এসআই