ঢাকা: বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার ঐতিহ্যবাহী খাবারের এক জাকজমকপূর্ণ আয়োজন করতে যাচ্ছে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট।
বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে ‘দ্যা লোকাল কালিনারী হেরিটেজ অব বাংলাদেশ’ নামে এই আয়োজন চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।
বুধবার (০২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর খিলক্ষেতে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) কবির রেজা।
এ প্রসঙ্গে কবির রেজা বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলাদেশি হোটেল ব্র্যান্ড হিসেবে ঢাকা রিজেন্সি সর্বদা স্থানীয় ও বিদেশি অতিথিদের কাছে দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারের প্রচার ও পরিচয় করিয়ে দিতে অনুপ্রাণিত।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা রিজেন্সির পাবলিক রিলেশন ও কমিউনিকেশন বিভাগের এক্সিকিউটিভ দেওয়ান ফারহানা মাসুক ইরা জানান, ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, জনপ্রিয় একটি বাংলাদেশি হোটেল ব্র্যান্ড যা অন্যান্য বিদেশি হোটেলগুলোর সঙ্গে সগর্বে একইসঙ্গে তার সার্ভিস পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে দিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে হোটেলটি তার সুনাম ধরে রেখেছে।
তিনি জানান, বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবারের এই মিলনমেলা আয়োজনে থাকছে বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন স্বাদের মুখরোচক খাবার। যেমন- চট্টগ্রামের মেজবান, সিলেটের সাতকড়া বিফ, খুলনার চুইঝাল, কক্সবাজারের লইট্টা ভাজি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কালাইয়ের রুটি, চাটগাঁওয়ের কালাভুনা। এছাড়াও পুরান ঢাকার খাসির লেগ রোস্ট, নিহাড়ি-তেহারি, বিরিয়ানিতো আছেই।
মিষ্টি-মন্ডার মধ্যের নাটোরের কাঁচাগোল্লা, নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি, বরগুনার চুইয়া পিঠা, চ্যাবা পিঠা, মুইটা পিঠা, বগুড়ার দই, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, মেহেরপুরের রসকদম্ব। এছাড়াও সঙ্গে থাকছে হরেক রকমের ভর্তা!
মাসুক ইরা আরও জানান, ঐতিহ্যবাহী নানা খাবারে সাজানো এই বিশাল আয়োজনে জনপ্রতি খাবার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩০০++ টাকা। ঢাকা রিজেন্সীর লয়াল্টি প্রোগ্রাম প্রিমিয়ার ক্লাব মেম্বাররা ব্যুফে ডিনারে অগ্রাধিকার পাবেন।
বাঙালি হিসেবে আমরা ভোজন প্রিয় উল্লেখ করে ইরা জানান, আমাদের মা-নানি-দাদিদের হাতের খাবারের স্বাদ এখনও আমাদের কাছে প্রশংসিত। যা মনে হলে সেই স্বাদ ও ঘ্রাণে আমরা হারিয়ে যাই। অতীতে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় খাবার যা রান্না করার পরে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠতাম। আমাদের নানি-দাদিরা নিজ হাতে মশলা বেটে দেশীয় উপাদান দিয়ে রান্না-বান্না করতেন যা বর্তমানে বিংশ শতাব্দীতে আমরা ও আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ভুলতে বসেছে।
‘ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট সব সময় দেশীয় ঐতিহ্যকে ধারন ও বহন করে এবং এভাবেই আমাদের পথচলা। সেহেতু আমরা আমাদের খাবারে দেশীয় স্বাদের প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আমাদের শেফরা সর্বদা শতভাগ দেশীয় মশলা এবং উপকরণ ব্যবহার করে থাকেন। আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বা অঞ্চলের প্রসিদ্ধ খাবারগুলোকে আন্তর্জাতিক বা বিদেশি অতিথিদের কাছে পরিবেশনের মাধ্যমে প্রচার করে থাকি৷ সেই সঙ্গে বাঙালি আতিথিয়তা প্রসার করি। কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশে ফাস্ট ফুড এবং ভিনদেশি খাবারের ভিড়ে আমাদের ঐতিহ্যবাহী চিরচেনা খাবারগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। সেখানে আমরা নতুন করে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে এই খাবারগুলোর স্বাদ পুনরায় পরিচিত করে দিতে যাচ্ছি। এই উদ্দেশ্যে আমাদের প্রচেষ্টায় ‘দ্যা লোকাল কালিনারী হেরিটেজ অব বাংলাদেশ’- বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবারের এক মিলনমেলা। ’ বলেন তিনি।
‘দ্যা লোকাল কালিনারী হেরিটেজ অব বাংলাদেশ’ আয়োজন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা যাবে 01713332661 নম্বরে অথবা ভিজিট করতে হবে- https://fb.me/e/1T81wjpo7
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২২
এসজেএ/এসএ