ম্যাচ শুরু হওয়ার অল্প কিছুক্ষণ বাকি তখন। ফুটবলাররাও নেমে পড়েছেন মাঠে।
এরপর টিভি ক্যামেরাতেই দেখা গেছে, আর্জেন্টিনার সমর্থকদের পেটাচ্ছেন ব্রাজিলের নিরাপত্তাকর্মীরা। তাদের শান্ত করতে ওখানে ছুটে যান আলবিসেলেস্তে ফুটবলাররা। গোলরক্ষক মার্তিনেসকে তো দেখা যায় তাদের লাঠি ধরতেও। এই পরিস্থিতি নিয়ে ম্যাচের পর কথা বলেছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
তিনি বলেন, ‘খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল পরিস্থিতি। আমরা দেখছিলাম তারা মানুষদের (আর্জেন্টিনা সমর্থক) পেটাচ্ছিল, (কোপা) লিভার্তোদেরেসের ফাইনালেও একই রকম ঘটনা ঘটেছে। তারা আবারও লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে সমর্থকদের। ’
‘ওখানে ফুটবলারদের পরিবারের লোকজনও ছিল। তারা পরিবার নিয়ে চিন্তায় ছিল, জানতো না কী হচ্ছে। তাদের মনোযোগ খেলার চেয়ে বেশি ওখানে চলে গিয়েছিল একটা সময়। ’
এমন পরিস্থিতির পর ফুটবলারদের নিয়ে মাঠ ছেড়ে চলে আসেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ড্রেসিংরুমে তারা ফিরে এসে আবার মাঠে যান প্রায় আধঘণ্টা পর। খেলাও শুরু হয় দেরিতে। কেন ফিরে এসেছিলেন? ওই কারণও জানিয়েছেন মেসি।
তিনি বলেন, ‘সবকিছুকে শান্ত করার জন্য চলে যেতে হয়েছিল। আমরা দেখছিলাম ওরা কীভাবে মানুষদের পেটাচ্ছিল, যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। যখন সবকিছু কিছুটা শান্ত হয়, আমরা সিদ্ধান্ত নেই ড্রেসিংরুমে ফিরে যাওয়ার। ওখানে গিয়ে খোঁজ নিয়েছি স্বজনরা কেমন আছে, সবকিছুর ব্যাপারেও জানতে চেয়েছি। এরপর আবার আমরা মাঠে ফিরেছি। ’
৭৮ মিনিটে মাঠ ছেড়ে উঠে যান মেসি। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল কিছুটা অস্বস্তিতেও ভুগছেন। ম্যাচশেষে এ নিয়ে মেসি বলেন, ‘এটা আমার শেষ ম্যাচ ছিল এ বছর। সুস্থ হওয়ার জন্য সময় আছে হাতে। এরপর ভালোভাবে আগামী বছর সবকিছু শুরু করবো। একটা দারুণ বছরের জন্য প্রস্তুতি নেবো। ’
‘ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচটা কঠিন ছিল। ওদের কয়েকটা ম্যাচে ফল পক্ষে আসেনি, মানুষ সন্তুষ্ট ছিল না দল নিয়ে। আমরা জানতাম ম্যাচটা কঠিন হবে কোপা আমেরিকার ফাইনালের মতো। ওরা একটু বেশি প্রেস করেছে, শুরুতে আমাদের বেশিক্ষণ পজেশন ধরে রাখা কঠিন ছিল। সৌভাগ্যবশত ওতামেন্দি গোলটা পেয়ে যায়। ’
বাংলাদেশ সময় : ০৯৫৮ ঘণ্টা, ২২ নভেম্বর, ২০২৩
এমএইচবি