চারিদিকে নারী ফুটবলের জয়জয়কার থাকলেও নিয়মিত বেতন পান না তারা। বাংলাদেশ ফুটবলে বর্তমানে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন নারী ফুটবলারদের সাফল্য।
চলতি বছর সবশেষ ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পেয়েছেন সাবিনা-মারিয়ারা। সেই হিসেবে বাকি পড়েছে এক মাসের বেতন। তবে এখন থেকে সেই ঝামেলা থেকে মুক্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। থাকবে না বেতন বকেয়া পড়ার শঙ্কা। ফিফার অনুদান থেকে সাবিনাদের বেতন দেওয়ার অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
এমনটা আগে করার কোনো সুযোগ ছিল না। অবশেষে সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছে ফিফা। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, বাফুফেকে দেওয়া ফিফার বার্ষিক অনুদান থেকে মেয়েদের বেতন দেওয়া যাবে, যেটা আগে দেওয়া যেত না।
আগের চুক্তি অনুযায়ী, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনসহ ১৫ ফুটবলার মাসে পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা করে। ১০জন পেতেন ৩০ হাজার টাকা, ৪ জন ২০ হাজার ও ২ জনের বেতন ছিল ১৮ হাজার টাকা করে। সব মিলিয়ে ৩১ ফুটবলারের জন্য বেতনের অঙ্ক ছিল মাসে ১১ লাখ টাকার কিছু বেশি। এতদিন সময় মতো বেতন পেতেন না নারী ফুটবলাররা। প্রতিমাসে বাকেয়া পড়ত বেতন। তবে ফিফার অনুদান থেকে বেতন দেওয়া যাবে বলে এখন আর নারী ফুটবলারদের বেতন বকেয়া পড়বে না বলে আশা বাফুফের।
এ প্রসঙ্গে বাফুফের নারী উইং কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছেন, ‘মেয়েদের বেতনের টাকার জন্য আমরা ফিফাকে অনুরোধ করে চিঠি লিখেছিলাম। ফিফা বলেছে, বাফুফেকে তারা যে অনুদান দেয়, সেখান থেকে মেয়েদের বেতন দেওয়া যাবে। আগে ফিফার অনুদান থেকে মেয়েদের বেতন দেওয়ার সুযোগ ছিল না। অন্যভাবে জোগাড় করতে হতো। এখন অনুদান থেকে সেটা দিতে পারা মানে আমাদের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির। ’
এবার পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে মে থেকে নতুন চুক্তি হতে যাচ্ছে। তবে বেতন বাড়বে না, আগের মতোই থাকবে। যদিও সাবিনা খাতুনরা বেতন বাড়ানোর আবেদন করেও কোনও সাড়া পাননি। নতুন চুক্তিতে ৩৪/৩৫ জন খেলোয়াড় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৪
এআর/এএইচএস