ব্রাজিল মানেই চোখে ভেসে ওঠে সবুজ-হলুদ জার্সি, আর বিকল্প হিসেবে সেই ঐতিহাসিক নীল। কিন্তু ২০২৬ সালের যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠেয় ফুটবল বিশ্বকাপে দেখা যেতে পারে এক ব্যতিক্রম—লাল জার্সি।
সম্প্রতি ফুটি হেডলাইনস নামের এক ওয়েবসাইট, যারা খেলাধুলার পোশাকের ভবিষ্যদ্বাণী ও লিকের জন্য পরিচিত, তারা জানায়—ব্রাজিল তাদের ঐতিহ্যবাহী নীল অ্যাওয়ে জার্সির পরিবর্তে এবার লাল জার্সি ব্যবহার করতে পারে। জার্সির ডিজাইনে থাকবে কালো ডিটেইলস এবং চমকপ্রদ এক পরিবর্তন—নাইকি-এর ক্লাসিক লোগোর জায়গায় থাকবে জর্ডান ব্র্যান্ড-এর লোগো, অর্থাৎ মার্কিন বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডানের আইকনিক প্রতীক!
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম গ্লোবো এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ২০২৬ সালের মার্চে এই নতুন জার্সির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন হতে পারে। যদিও ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি, তবে তারা জানিয়েছে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি এবং সবকিছুই হবে নাইকি-এর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে।
তবে, নতুন জার্সির জন্য নিয়ম পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে। কারণ, সিবিএফ-এর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জাতীয় দল কেবলমাত্র জাতীয় পতাকার রঙ—সবুজ, হলুদ, নীল ও সাদা—ব্যবহার করতে পারে। যদিও ২০২৩ সালে একটি ব্যতিক্রম দেখা গেছে, যখন বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ এক ম্যাচে কালো জার্সি পরে মাঠে নামে ব্রাজিল। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের প্রতি সংহতি জানিয়ে সেই ম্যাচটি তারা জিতেছিল ৪-১ গোলে গিনির বিপক্ষে।
ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে—১৯১৭ সালে ব্রাজিলের লাল জার্সি পরার গল্প
অনেকে ভাবতে পারেন, ২০২৬-এ লাল জার্সি একেবারেই নতুন পদক্ষেপ। আসলে না—এটাই প্রথম নয়। ১৯১৭ সালের সাউথ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপে (বর্তমান কোপা আমেরিকা) এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে লাল জার্সি পরতে হয়েছিল ব্রাজিলকে।
উরুগুয়ে, চিলি ও ব্রাজিল—তিন দলই তখন সাদা রঙের হোম কিট ব্যবহার করত। সমস্যার সমাধানে একটি লটারির আয়োজন করা হয়। যাকে লাল জার্সি পরতে হবে, সেটা নির্ধারিত হয় ড্রয়ের মাধ্যমে। লটারি ভাগ্যে ব্রাজিল পড়ে এবং তারা লাল জার্সি পরেই খেলতে বাধ্য হয়।
ফলাফল ছিল মিশ্র। একদিকে তারা উরুগুয়ের কাছে হেরে যায় ৪-০ গোলে, অন্যদিকে আর্জেন্টিনাকে হারায় ৫-০ ব্যবধানে।
সূত্র- টিওয়াইসি
এমএইচএম