৪১ বছরের ইউরোপীয় শিরোপার অপেক্ষা এবার ফুরালো টটেনহ্যাম হটস্পারের। সান মামেসের জমজমাট ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের চতুর্থ ইউরোপীয় শিরোপা জিতেছে স্পাররা।
কোচ এনজ পোস্টেকোগলু তাঁর আগমনের দ্বিতীয় মৌসুমেই শিরোপা জেতার প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেন। একই সঙ্গে নিশ্চিত হলো আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের টিকিটও। এই কীর্তি এল এমন এক সময়ে, যখন দু’বছর আগেই দল ছেড়ে গেছেন হ্যারি কেইন। ফুটবলের নির্মম রসিকতা যেন বারবার ফিরে আসে!
ক্লাসিক এক ইউরোপীয় ফাইনাল, তবু গতি নেই খেলায়
ম্যাচে উত্তেজনা থাকলেও খেলার মান ছিল অনেকটাই হতাশাজনক। ২০২৪-২৫ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে যথাক্রমে ১৬ ও ১৭তম স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করা এই দুই দল মাঠেও দেখিয়েছে সেই ছন্দহীনতা। ম্যাচ জুড়েই ছিল নার্ভাসনেস, ভুল পাস আর এলোমেলো খেলা।
তবু প্রথমার্ধের একমাত্র দৃষ্টিনন্দন মুহূর্তেই ঘটে গেল ফয়সালা। সতীর্থের দারুণ ক্রস থেকে গোলমুখে লুক শ’র বিভ্রান্তিকর ছোঁয়ায় বল পৌঁছায় জনসনের পায়ে, যিনি নিশ্চিত করেন ইউরোপা লিগে নিজের পঞ্চম গোলটি। এই গোলেই নির্ধারিত হলো ভাগ্য।
রক্ষণে অবিচল টটেনহ্যাম, শেষ মুহূর্তে ইউনাইটেডের মরিয়া প্রচেষ্টা
গোলের পর পুরো দ্বিতীয়ার্ধ জুড়েই রক্ষণাত্মক ফুটবলে মন দেয় টটেনহ্যাম। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে সোলাঙ্কের সুযোগ ছিল ব্যবধান বাড়ানোর, কিন্তু ব্যর্থ হন তিনি।
অন্যদিকে, দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা জেগে ওঠে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সবচেয়ে বড় সুযোগ আসে ৬৭ মিনিটে: গোলরক্ষক ভিকারিওর ভুলে রাসমুস হইলুন্দ হেডে বল বাড়ান, কিন্তু মিকি ভ্যান ডি ভেন দুর্দান্ত এক অ্যাক্রোবেটিক ক্লিয়ারেন্সে গোললাইন থেকে বল ফিরিয়ে দেন।
পরে গারনাচো বদলি নেমে খানিক প্রাণ আনেন, দুটি ভালো আক্রমণ গড়েন, যার মধ্যে একটি ভিকারিও দারুণ সেভে রক্ষা করেন। শেষদিকে রুবেন আমোরিমের ইউনাইটেড চাপ সৃষ্টি করে, কিন্তু তাতে কাজ হয়নি।
ঐতিহাসিক মুহূর্ত: ২০০৮ সালের পর টটেনহ্যামের প্রথম শিরোপা
শেষ বাঁশি বাজার পর দেখা যায় উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়া টটেনহ্যাম দলকে। এটি তাদের ২০০৮ সালের পর প্রথম কোনো ট্রফি এবং ১৯৮৪ সালের উয়েফা কাপের পর প্রথম ইউরোপীয় শিরোপা। ক্লাব ইতিহাসে এটি তাদের চতুর্থ ইউরোপীয় ট্রফি—দুই ইউরোপা কাপ, একটি কাপ উইনার্স কাপ এবং এবার ইউরোপা লিগ।
এমএইচএম