ঘরের মাঠে এগিয়ে গিয়েও শেষ হাসি হাসতে পারল না বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বুধবার রাতে ২-১ গোলে হেরে গেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
ম্যাচের শুরু থেকেই উভয় দল সতর্ক ছিল। ১২তম মিনিটে কর্নার থেকে সুযোগ পেলেও হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি পিএসজির ডিফেন্ডার ইল্লা জাবারনি। দুই মিনিট পর তিনিই গোললাইন থেকে ফেরান ফেররান তোরেসের শট। তবে ১৯তম মিনিটে আর ব্যর্থ হননি এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। ইয়ামালের পাস থেকে মার্কাস র্যাশফোর্ড বল বাড়ান বক্সে, স্লাইড শটে জাল খুঁজে নেন তোরেস।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে সমতায় ফেরে পিএসজি। ৩৮তম মিনিটে নুনো মেন্দেসের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন সেনি মায়ুলু। বিরতির আগে হাকিমির ফ্রি-কিকও রুখে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যান্সনি।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল পিএসজি। ৫৩তম ও ৫৪তম মিনিটে ইব্রাহিম বাইয়ে ও ব্রাডলি বারকোলার শট ঠেকান স্ট্যান্সনি। এরপর ৬৫তম মিনিটে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে দুইটি শট ফিরিয়ে দেন পিএসজি ডিফেন্ডাররা। র্যাশফোর্ডের ফ্রি-কিক পাঞ্চ করে ফেরান পিএসজি গোলরক্ষক, ফিরতি বলে ইয়ামালের শটও যায় বাইরে।
শেষ দিকে আরও কিছু সুযোগ নষ্ট করে দুই দল। ৮৩তম মিনিটে পিএসজির লি ক্যাং-ইনের বাঁকানো শট পোস্টে লেগে ফিরলে বেঁচে যায় বার্সেলোনা। তিন মিনিট পর কর্নার থেকে মেন্দেসের হেডও আটকে দেন গোলরক্ষক স্ট্যান্সনি।
তবে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগে ৯০তম মিনিটে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন গনসালো রামোস। হাকিমির ক্রস থেকে ঠাণ্ডা মাথার শটে গোল করে বার্সেলোনার আশা শেষ করেন তিনি।
এই জয়ে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই জয় পাওয়া পিএসজি উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকার তিনে। গোল পার্থক্যে তাদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। অন্যদিকে এই হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৬তম স্থানে নেমে গেছে বার্সেলোনা।
দিনের আরেক ম্যাচে গ্রিসের অলিম্পিয়াকোসকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল। গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে যাওয়ার পর যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বুকায়ো সাকা। টানা দ্বিতীয় জয় নিয়ে ৬ পয়েন্টে গ্রুপের পাঁচ নম্বরে রয়েছে আর্সেনাল।
আরইউ