ঢাকা: গ্রিসের দশজনের দল রুখে দিয়েছে এশিয়ার ফুটবল শক্তি জাপানকে। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় জাপান বল পজেশনে আধিপত্য বিস্তার করলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই জাপান একের পর এক আক্রমণ করে যায় গ্রিসের রক্ষণভাগে। তবে কোনো আক্রমণকেই গোলে পরিণত করতে ব্যর্ধ হয় জাপানের ফরোয়ার্ডরা। আক্রমণভাগে খেলোয়াড়দের ব্যর্থতায় ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় জাপানিদের।
বিপদজনক জায়গায় বেশ কয়েকবার ফ্রিকিক পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি জাপান দলের ফ্রিকিক স্পেশালিস্ট কেইসুকে হোন্ডা।
খেলার ৬৯ মিনিটে জাপানের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন ওকুবো। কাগাওয়ার বাড়িয়ে দেওয়া বল গোলবারের কাছে একা গোলরক্ষককে পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন জাপানের মিডফিল্ডার ওকুবো।
এরপর ৭১ মিনিটে আরও একটি সুযোগ তৈরি করেন জাপানের খেলোয়াড় ওকাজাকি। কিন্তু স্ট্রাইকার উচিদার শট আবারও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৮৯ মিনিটে ডিবক্সের ঠিক বাইরেই ফ্রিকিক পায় জাপান। ইয়াসুহিতো এন্ডোর ফ্রিকিক বামদিকে ঝাপিয়ে পড়ে আটকে দেনে গ্রিসের গোলরক্ষক ওরেসস্তিস কারনেজিস।
এরপর ইনজুরি টাইমে মরিয়া লড়াই করেও কোনো গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেরি জাপানিরা।
বিশ্বকাপে টিকে থাকার ম্যাচে ‘সি’ গ্রুপে জাপান ও গ্রিসের খেলার প্রথমার্ধ গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়। খেলার ৩৮ মিনিটে গ্রিসের মিডফিল্ডার কস্টাস কাস্তোরানিস দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।
১০ জনে পরিণত হওয়া দল পেয়ে বেশ কিছু আক্রমণে গেলেও প্রথমার্থে কোনো গোল পায়নি জাপান।
খেলার শুরু থেকেই জাপানের আক্রমণের মুখে পড়তে হয় গ্রিসকে। খেলার ২ মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে ইয়ামাগুচির নেওয়া শট আটকে দেন গ্রিসের ডিফেন্ডার মানোলাস। এরপর ১১ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে জোরালো শট করেন গ্রিস মিডফিল্ডার কোনে। আগে থেকেই প্রস্তুত জাপান গোলরক্ষককে কোনের শট আটকাতে বেগ পেতে হয়নি।
খেলার ১২ মিনিটে গ্রিসের খেলোয়াড় মানিয়াটিসকে ফাউল করে ম্যাচের প্রথম কার্ড দেখেন জাপানের মিডফিল্ডার মাকোতো হাসেবে।
১৯ মিনিটে উচিদার ডায়াগোনাল পাস থেকে পাওয়া সুযোগ দুর্বল শট নিয়ে নষ্ট করেন জাপানের ফরোয়ার্ড ওসাকো। এ সময় পর্যন্ত খেলায় বল দখলে জাপানের আধিপত্য দেখা গেলেও, আকমণ ভাগে সৃজনশীলতার অভাবে গোল করতে ব্যর্থ হন জাপানের ফরোয়ার্ড খেলোয়াড়েরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৪