ব্রাজিলের ছয় আঙ্গুলে একটি পরিবারই বয়ে আনবে দেশের জন্য ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের ভাগ্য! সে বিশ্বাস পরিবারের প্রতিটি সদস্যের। ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের হিসাব এই পরিবারের সদস্যরা তাদের হাতের সবকটি আঙ্গুল দিয়ে গুনতে চায়।
ব্রাসিলিয়ার উপশহরে এই অদ্ভুত পরিবারটির প্রতি সদস্যের উভয় হাতে ৬টি করে আঙ্গুল।
পলিড্যাক্টিলি নামক এক ধরনের জেনিটিক কারণেই হাতে ছয়টি আঙ্গুল তাদের।
তাদের প্রত্যাশা ব্রাজিলের জাতীয় ফুটবল দল ‘ক্যারিনহোর’ জন্য এবার ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপের ভাগ্যই লেখা হচ্ছে।
হলুদ আর সবুজের মিশ্রণে ছোট্ট পাখি ক্যারিনহোই ব্রাজিলের জাতীয় দলের রঙ। এবং সেই নামেই তাদের নাম। ১৯৭০ এর দশকে ফুটবলের কিংবদন্তী পেলের যুগ থেকেই এই রঙ ধারণ করে আছে ব্রাজিল দল।
ব্রাসিলিয়ার উপ-কণ্ঠের ওই পরিবারটির কথা জানাজানি হয় ২০১০ সালের বিশ্বকাপের সময়। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমে তাদের নিয়ে রিপোর্টও হয়। সেবারও এই পরিবারের সদস্যরা ব্রাজিলের জন্য ষষ্ঠ বিশ্বকাপটি এনে দিতে সরব হয়েছিলেন।
পরিবারের সদস্য আনা ক্যারোলিনা সান্টোাস ডা সিলভা পর্তুগীজ ভাষায় ‘হেক্সাচ্যাম্পিও’ শব্দটিই ব্যবহার করলেন। বলেন, আমরা আমাদের দেশকে ছয় বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই দেখতে চাই।
পরিবারের ১৪ সদস্য প্রত্যের দুই হাতে ছয় করে ১২ আঙ্গুল। সবমিলিয়ে ১৮৮ আঙ্গুল মেলে ধরে এই প্রত্যাশার কথাই ব্যক্ত করলেন তারা।
সিলভা পরিবারের এই সদস্যরা তাদের হাতের ষষ্ঠ আঙ্গুলটি নিয়ে হীনমন্যতায় না ভুগে বরং এর সুবিধা নিয়ে ঘর-গৃহস্থলীর কাজে ও সঙ্গীতে নিজেদের দক্ষতার প্রমান দেখাচ্ছেন।
পরিবারের ১৪ বছরের কিশোর জোয়াও ডি আসিস ডা সিলভা তার ছয় আঙ্গুলে অসাধারণ গিটার বাজায়। তারই ৭ বছরের কাজিন মারিয়া মোরেনা ডা সিলভাও সঙ্গীতে আগ্রহী এবং বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখে।
মোরেনার ভাষায়, “আমি কখনোই পিয়ানো বাজাইনি, তবে আমি তা শিখতে চাই। আমার ধারণা, ছয় আঙ্গুলে আমি আরও ভালো পিয়ানো বাজাতে পারবো।
বাংলাদেশ সময় ১৫২৬ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৪