ঢাকা: বিশ্বকাপ ১৯৯৪। স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলছিল উজ্জীবিত কলম্বিয়া।
তখনও এসকোবার জানতেন না বিশ্বকাপে দেশের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে লেখা হয়ে গেছে তারও মৃত্যু। আত্মঘাতী গোলে ২-১ এ হারার পর ফলস্বরূপ গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে।
এই কলম্বিয়ান মিডফিল্ডারের ২০তম মৃতুবার্ষিকী ছিল ২ জুলাই। আর এবারই প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল খেলছে তার দল কলম্বিয়া। তাই ২৭ বছর বয়সে এসকোবারেরেই মৃত্যুকে শক্তি হিসেবে নিয়ে তাকে স্মরণ করে রাখতে ম্যাচটি জিততে চায় রদ্রিগেজরা।
১৯৯৪ বিশ্বকাপে সেটা ছিল কলম্বিয়ার দ্বিতীয় ম্যাচ। কলম্বিয়ান গোলরক্ষক অস্কার করডোবা বোকা বনে যান যুক্তরাষ্ট্রের জন হার্কসের ক্রস থেকে কাট করতে যাওয়া স্বদেশী এসকোবারের শটে। সঙ্গে তিনিও যেন হয়ে যান এসকোবারের ঘাতক।
মৃত্যু ডেকে আনা আত্মঘাতী সেই গোলের পর এসকোবারসহ কলম্বিায়ান দল
এর ছয়দিন পর এসকোবার তার বন্ধুদের সঙ্গে মেডিলিনে যান রাত উদযাপনে। কিন্তু ভোরের দিকে নাইটক্লাবের কার পার্কিংয়ের পাশে ছয়টি গুলি করা হয় মাদক চোরাচালানে যুক্ত- এমন অভিযোগ থাকা এ মিডফিল্ডারকে।
১৯৯৪ বিশ্বকাপে পরবর্তী রাউন্ডে উঠতে না পারায় মাদক চোরাচালানে যুক্ত এক ড্রাইভারই এসকোবারকে হত্যা করে এমন প্রমাণ পাওয়া যায়।
তার মৃত্যুর পর দলের অন্যতম তারকা ভালদেরামা ও অ্যাসপিরিলা ২০জন দেহরক্ষী নিয়োগ দেন।
এ ঘটনার বিশ বছর পর রদ্রিগেজে ভর করে বিশ্বকাপে ভালো কিছু করে দেখাবে এবং ভুলিয়ে দেবে সেবার এসকোবারকে হারানোর দুঃখ- এমন টি আশা সবার।
২ জুলাই ফুটবল বিশ্বের এক কলঙ্কময় দিন। এমন দিন ফিরে আসুক চান না কেউ। আর কলম্বিয়ানরা চান সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে ব্রাজিলের বিপক্ষে জিতে অন্যভাবে জুলাই মাসকে স্মরণে রাখতে। ইহজগতে না থেকেও প্রতিদিন মাঠে থাকছে এককোবারের বড় বড় পোস্টার। এটাই তাদের শক্তি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৪