নেইমার যখন মাটিতে শুয়ে দুই হাতে মুখ ঢেকে কাঁদছিলেন তখন লুই ফেলিপে স্কলারি তার দিকে এগিয়ে যান। হাত বাড়িয়ে টেনে তোলেন নেইমারকে।
সেকেন্ড রাউন্ডে চিলির বিপক্ষে যখন হারতে হারতে বেঁচে গেলো দলটি তখনকার এই দৃশ্য বিশ্ববাসী দেখেছে।
স্কলারি জানতেন এই সময় নেইমারের পাশে তাকেই থাকতে হবে। শুধু নেইমার নয়, সেইদিন ভগ্ন হৃদয়ে ব্রাজিলের সবকটি খেলোয়াড়ের পাশে দাড়িয়েছিলেন স্কলারি। কারণ বিশ্বকাপ ঘরে রাখতে এই তারুণ্যের দলটিকে সাহস তাকেই যোগাতে হয়।
সবাই তাকে ডাকে ‘বিগ ফিল’ নামে। তারা বলে বিশ্বকাপে ফেলিপে তাদের কাছে ঠিক বাবার মতো।
ক্যাপ্টেন থিয়াগো সিলভা যেমনটি বলেন, তিনি একজন বন্ধু, তিনি ঠিক বাবার মতো। কেউ যখন কঠিন সময়টি পার করে তখন ফিলের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তিনি এমন একজন কোচ যিনি খেলোয়াড়ের মন ভালো রাখতে সম্ভাব্য সব কিছু করেন।
ডিফেন্ডার ডেভিড লুইজের কথাই শুনন না। বলছেন, বিগ ফিল সবসময়ই আমাদের পাশে আছেন। পরামর্শ দিচ্ছেন, সহায়তা করছেন, প্রশংসা করছেন, সময় মতো সতর্কও করছেন। একটা স্বচ্ছ মানুষ, কথা ও কাজে যার সম্পূর্ণ মিল রয়েছে। যে কোনো প্রয়োজনে আমরা তার সঙ্গে কথা বলতে পারি।
২০০২ সালে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে দেওয়ার পর এই ক্যারিশম্যাটিক কোচ দেশের জন্য ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপ জয় করিয়ে আনতে সবচেয়ে সঠিক লোকটি বলেই বিবেচিত। স্থানীয় মিডিয়া ও ফুটবল ভক্তদের কাছেও তারই সুনাম।
আমরা ফেলিপোকে কখনোই বস হিসাবে দেখি না, তিনিই আমাদের নেতা, মন্তব্য রাইট ব্যাক ড্যানি আলভেসের। একজন বস কেবল নির্দেশ দেন, একজন নেতা সঙ্গে নিয়ে কাজ করেন, সকল প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ান, বিগ ফিল সেরকমই।
মধ্যমাঠের রামিরেস বললেন, বিগ ফিল জানেন কিভাবে খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করতে হয়ে। প্রতিটি খেলোয়াড়ের আলাদা ভাবে কি প্রয়োজন তাও তিনি জানেন। তিনিই জানেন কখনো কঠোর হতে হবে, কখন বাড়িয়ে দিতে হবে সাহায্যের হাত।
বাংলাদেশ সময় ১৫৫০ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৪