ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

তৃতীয়বারের মতো সভাপতি হতে চান সালাউদ্দিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৬
তৃতীয়বারের মতো সভাপতি হতে চান সালাউদ্দিন ছবি: শে‍ায়েব মিথুন- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ২০০৮ সালের নির্বাচিত সভাপতি কাজী মোঃ সালাহউদ্দিন। পরেরবার অর্থাৎ ২০১২ সালে নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

আসছে ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন, যেখানে নির্বাচিত হলে টানা তৃতীয়বারের মতো সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন বাংলাদেশ ফুটবলের সাবেক তারকা অধিনায়ক ও বর্তমান সভাপতি।

 

নির্বাচনে ভোট দিয়ে তাঁকে নির্বাচিত করতে বাংলাদেশ ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল সংগঠককে আহবান সালাহউদ্দিন। ‘আপনারা যদি আমার সাথে থাকেন আমরা সবাই এক মাথে ফুটবলের জন্য যুদ্ধ করবো এবং কাজ করবো। আমাদের ফুটবল আজ একটি জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। এখান থেকে আরও সামনে এগিয়ে যেতে দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন। ’ বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ ফুটবল ফডারেশন আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ ফুটবলের সভাপতি হিসেবে বিগত দিনে নিজের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরে সালাহউদ্দিন, ‘অস্ট্রেলিয়া আমাদের সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যা দিয়ে আমাদের দেশে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে আসতে চায়নি। তারা বলেছে তোমাদের এই দিব ওই দিব কিন্তু আমি বলেছি এটা আমাদের দেশের প্রেসটিজ। আমি নিজে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বলেছি আমাদের সন্ত্রাসী বলে অস্ট্রেলিয়া আসতে চাচ্ছেনা, ওরা আমাকে বিরক্ত করছে। আমি অস্ট্রেলিয়া যেতে চাই। ওনি আমাকে অনুমতি দিয়ে বললেন তুমি যাও, আমি অনুমতি দিলাম। আমি চাই অস্ট্রেলিয়া আমাদের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে আসুক। আমি ফিফা’র সঙ্গে এক রকম যুদ্ধ করেই অস্ট্রেলিয়াকে এনেছি। ’

‘এরপর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আয়োজন করলাম। কোনো রকম বিপত্তি ছাড়াই মাঠে হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে সফল একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করলাম, কই আপনারা তো আমাকে এই কৃতিত্ব দিলেন না। তাই আপনাদের সামনেই আজ আমি নিজেই এই কৃতিত্ব নিয়ে নিচ্ছি। আমি জাপানকে এনে দিয়েছি। ’-যোগ করেন সালাউদ্দিন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন ফুটবল ফেডারশনে আসি তখন আরিফ খান জয়রা (বর্তমান ক্রীড়া উপমন্ত্রী) এখানে মিছিল করেছে খেলার জন্য। তখন ওনাদের বেতন ছিল বছরে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা, আজ তাদের বেতন বছরে ৬০ লাখ টাকা। আমি মনে করি, এটা ফুটবলের সবচেয়ে বড় সাফল্য যা আমরা করে দিয়েছি। ’

এরপর বাংলাদেশের যুব ফুটবলে নিজেদের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে সালাউদ্দিন জানান, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ যুব দল চ্যাম্পিয়ন, অ-১৯ দল ফাইনাল খেলেছে, অনু-১৪ তে আঞ্চলিক টুর্নামেন্টে আমাদের নারী দল চ্যাম্পিয়ন। ’

আপনি সভাপতি থাকাকালীন বাংলাদেশ জাতীয় দল কেন সাফল্য পাচ্ছে না? গণমাধ্যম কর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই ফুটবল অভিভাবক জানান, ‘সংগঠক হিসেবে আমার কাজ খেলা আয়োজন করা। আমি তো আর মাঠে গিয়ে খেলে দিয়ে আসবো না। বিশ্বকাপ বাছাই খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাবার পথে দল বলেছিল মালয়েশিয়াতে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চায়। আমি সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমাকে বলেছে ওখানকার আবহাওয়া ঠান্ডা হওয়ায় ৪-৫ দিন আগে যেতে হবে, যেখানে খরচ হবে ৩০-৩৫ লাখ টাকা। আমি দিয়েছি। সংগঠক হিসেবে আমি আমার কাজে ফাঁকা রেখেছি কোথায় বলেন। ’

ভিশন ২০২২ নিয়ে আপনি বলেছিলেন। যেখানে বাংলাদেশ সাউথ এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হতে পারে না সেখানে ওই সময়ের মধ্যে বিশ্বকাপ কীভাবে খেলবেন? সাংবাদিকদের এম প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান ‘আমরা বেশিরভাগই মুসলমান। সবারই কিন্তু হজ্জ করার শখ হয়। আপনি একটা দিয়ে শুরু করুন আর দশটি দিয়ে করুণ আপনাকে শুরু করতে হবে। লক্ষ্য কিন্ত হজ্জ করার। আমি লক্ষ্যটা দিয়েছি শুরু করতে। আমি যদি হজ্জ করার সময়টা নাও পাই তাহলে অন্তত ওমরাহটা করি, সেটাই বা মন্দ কী? আসুন আমরা ফুটবলের জন্য সবাই এ সাথে কাজ করি। ’

সব শেষে এই নির্বাচনে অংশ নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহবান জানান বাংলাদেশ ফুটবল সভাপতি।             
          
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, ৭ এপ্রিল ২০১৬
এইচএল/এমআরএম

** প্রমাণ করুন, জেলে যেতে প্রস্তুত: সালাউদ্দিন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।