ঢাকা: অনেক ‘নতুন ম্যারাডোনা’র একজন ছিলেন আর্জেন্টাইন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ‘এল ম্যাগো’ খ্যাত পাবলো আইমার। ২০০৯ সালে জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়া তারকা এই সাবেক ফুটবলার আবারো ফুটবলে ফিরছেন।
৩৬ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন নিজের শৈশবের ক্লাব রিও কুয়ারতোর কোচ হিসেবে যোগ দেবেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো থেকে জানানো হচ্ছে।
মেসির যোগ্য উত্তরসূরি লিওনেল মেসিও আইমারকে আদর্শ মানতেন। কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরুতে এই মিডফিল্ডার যে প্রতিশ্রুতি জাগিয়েছিলেন, সেটির পূর্ণ প্রতিফলন দেখাতে পারেননি। অপ্রাপ্তি আর আক্ষেপ নিয়ে ২০০৯ সালে জাতীয় দলের জার্সি তুলে রাখেন দেশের হয়ে ৫২ ম্যাচ খেলা আইমার। এরপরও ফুটবল চালিয়ে যান তিনি।
গত বছর রিভারপ্লেটে দ্বিতীয় ধাপে যোগ দিলেও মাত্র একটি ম্যাচ খেলে ইনজুরিতে পড়েন। আর এরপরই নিজের বুটজোরা শেষবারের মতো তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেন আইমার। নীরবে ফুটবলকে বিদায় জানানো গত মৌসুমে কোপা লিবার্তাদোরেসের সেমিফাইনালে দল থেকে ছিটকে পড়ার পরই পেশাদারি ফুটবল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নেন।
জাতীয় দলে দীর্ঘদিন মেসির সতীর্থ হয়ে খেলা আইমার ২০০৬ বিশ্বকাপে একসঙ্গে খেলেছিলেন, ছিলেন ২০০৭ কোপা আমেরিকায় রানার্সআপ হওয়া আর্জেন্টিনা দলেও। ১৯৯৯ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ১০ বছরে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে খেলা আইমার বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন ৫৩৪টি ম্যাচ।
অ্যাটাকিং এই মিডফিল্ডার ক্লাব ক্যারিয়ারে স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া ও পর্তুগালের বেনফিকাতে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত খেলেছেন আর্জেন্টিনার ক্লাব রিভারপ্লেটের হয়ে। গত জানুয়ারিতে আবারো ফিরেছিলেন স্বদেশের বিখ্যাত ক্লাবটিতে। এপ্রিলে গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার করানোর পর আর সেভাবে ছন্দে ফিরতে পারেননি। ফলে, ৩৫ বছর বয়সে অবসরের সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেলেন আইমার।
খেলোয়াড় হিসেবে দুইবার লা লিগা, একবার উয়েফা কাপ জেতা আইমার ২০০১ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলেছেন। ক্লাব ক্যারিয়ারে খেলোয়াড় হিসেবে তেমন উজ্জ্বল না হলেও কোচ পদে মেসির সতীর্থ আইমার কতটা উজ্জ্বল হতে পারেন তা সময়েই বলে দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ১৮ জুলাই ২০১৬
এমআরপি