ময়মনসিংহ: ওরা ৪৩ জন এসেছিল রাজশাহী থেকে। ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) ১২ টি ম্যাচকে টার্গেট করেই ওরা এসেছিলো এ নগরীতে।
উদ্বোধনী ম্যাচে স্টেডিয়ামে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়ে খুশিতে মন ভরে উঠেছিল এ তরুণদের। একেকজন পকেটে ভরেছিলেন এক থেকে দেড় হাজার টাকা। কিন্তু এরপর থেকেই দর্শক খরা।
ভাত খাওয়ার টাকা পকেটে থাকলেও হোটেল ভাড়া উঠেনি। ফলে বাধ্য হয়েই এখন গোটা নগরীতে ছড়িয়ে পড়েছে ওরা।
নগরীর বিদ্যাময়ী স্কুলের সামনে, গাঙ্গিনার পাড়সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে পথচারীদের গতিরোধ করে বিপিএল’র লগু কিংবা ফুটবল তুলির আঁচড়ে হাতে কিংবা গালে এঁকে দিয়ে ১০ কী ২০ টাকা নেয়ার বায়না ধরছে। এভাবেই কষ্টে চলছে শুভ হাওলাদার ও রফিকদের দিনকাল।
বুধবার (১০ আগষ্ট) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর বিদ্যাময়ী স্কুলের সামনে এমন কান্ডেই দেখা গেলো ওদের।
একজন বললেন, ‘ভাই পকেটে ভাত খাবার টাকা আছে। নাজমা বোডিং এ উঠেছি। হোটেল ভাড়া নেই। তাই এখানে বিপিএল এঁকে টাকা সংগ্রহ করছি। ’
এসব তরুণরা জানায়, ফুটবল মাঠে দর্শক নেই। খেলা চলাকালীন সময়ে ওরা স্টেডিয়াম এলাকায় অবস্থান নেয়। প্রথম দিন শেখ জামাল ও চট্রগ্রাম আবাহনীর মধ্যকার ম্যাচে গ্যালারি উপচে পড়েছিল দর্শকে।
খেলার মাঠ ছাপিয়ে স্টেডিয়ামের বাইরেও ছিল দর্শকদের দীর্ঘ লাইন। অন্য রকম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা নগরীতে।
কিন্তু এরপর থেকেই দর্শকরা আর স্টেডিয়ামমুখী হচ্ছেন না। ফলে বাধ্য হয়েই তাদের ২৩ জন ময়মনসিংহ ছেড়ে চলে গেছেন। এখন ওদের দলে আছেন সাকুল্যে ২০ জন।
তারা স্টেডিয়াম ছেড়ে গোটা নগরীতেই বিপিএল’র প্রচারণার পাশাপাশি উল্কি এঁকে কোন জোর জবরদস্তি নয়, খুশি মনেই ১০ থেকে ২০ টাকা নিচ্ছেন পথচারীদের কাছ থেকে।
বাংলাদেশ সময় ১৮৩১ ঘন্টা, আগষ্ট ১০, ২০১৬
এমএএএম/এমএমএস