ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

বৃষ্টিতেই বদলে গেলো মাঠের চরিত্র

এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৬
বৃষ্টিতেই বদলে গেলো মাঠের চরিত্র ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়াম থেকে: ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামের মাঠের এতোদিন উচ্ছ্বসিত প্রশংসাই করেছেন ঘরোয়া ফুটবলের বড় আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অংশ নেয়া বিভিন্ন দলের কোচ। কেউ কেউ বলেছিলেন, এ মাঠ চট্টগ্রামের চেয়েও মানসম্মত।

শক্তিধর ক্লাবের কোচদের এমন প্রশংসায় আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্তা-ব্যক্তিরা। তাঁতানো গরমে মাঠের সবুজ দুর্বা ঘাসও যেন হাঁসফাঁস করছিল। কিন্তু শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরের মুষলধারে বৃষ্টিতে বদলে গেলো মাঠের নিত্যদিনকার চরিত্র।

খেলা শুরুর আগেভাগে বৃষ্টি থামলেও মাঠের এখানে-সেখানে জমে ছিল পানি। আর এ পানিতে মাঝে মধ্যে বলের গতিও হয়েছিল শ্লথ। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনেও উঠে এলো মাঠের চরিত্র বদলে যাবার বিষয়টি।

প্রশ্নের মুখে এ নিয়ে মুখ খুললেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কোচ জসিম উদ্দিন জোসি। অকপটে বললেন, ‘বৃষ্টির কারণে মাঠ ভেজা ছিল। ফলে বলও আটকে যাচ্ছিল। এ কারণে উভয় দলকেই এ নিয়ে ভুগতে হয়েছে। ’

সকাল পেরিয়ে দুপুর গড়াতেই এদিন মুখ ভারী করে অঝোরে বৃষ্টি নামে। অনেকেই ধরে নিলেন দিনের পুরোটাই হয়তো বৃষ্টিতে ভেসে যাবে। এ কারণে মোহামেডান ও মুক্তিযোদ্ধা’র ভক্ত-সমর্থকদের মনেও জমছিল আশঙ্কার মেঘ। কিন্তু বৃষ্টি থামলে সব আশঙ্কা দূরে ঠেলে নির্ধারিত সময়েই মাঠে গড়ায় শিরোপা প্রত্যাশী এ দু’দলের ম্যাচ।

আর সেই সময়েই আশার আলোও দেখতে শুরু করেন দু’দলের সমর্থকরা। আয়োজকদের চোখে-মুখেও কেটে যায় চিন্তার ভাজ। কিন্তু ফুটবলাররা মাঠে নেমেই এ নিয়ে অনেকটাই ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে মাঠের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে পানি বেশ ভুগিয়েছে দু’দলকেই। সেখান দিয়ে আক্রমণ দানা বাঁধার সময়েও বিপত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছিল এ বৃষ্টির পানিই।

তবে ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জাহান চৌধুরী শাহীন বাংলানিউজকে বলেন, খেলা শুরু হবার আগেই বালি ও বালতি দিয়ে মাঠ থেকে পানি অপসারণ করা হয়। আর বিরতির সময় জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও বাফুফে’র গ্রাউন্ডসম্যানরা ফোম ভিজিয়ে দ্বিতীয়বার পানি অপসারণ করে। ফলে উপযোগী মাঠেই দু’দল প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ফুটবল ম্যাচ উপহার দিয়েছেন, দাবি শাহীনের।

অবশ্য ময়মনসিংহ পর্বে লিগের চতুর্থ রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ পনিরুজ্জামান পনিরের মাঠ নিয়ে একটি বক্তব্যের জবাবে শেখ জামালের কোচ মোশাররফ হোসেন বাদল বলেছিলেন, ‘গরম-ঠান্ডা ফুটবলের জন্য ব্যাপার না। বৃষ্টি হলে বৃষ্টির মধ্যেই খেলতে হবে। এটাই ফুটবলের নিয়ম। ’

অনেকেই বলছেন, হয়তো নিজের দল বৃষ্টি ভেজা মাঠে ফুটবল খেললে মোশাররফ হোসেন বাদল আর এমনটি বলতে পারতেন না। হয়তো তাকে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কোচ জসিম উদ্দিন জোসি’র কণ্ঠেই সুর মেলাতে হতো। বলতে হতো, ‘বৃষ্টি ভেজা মাঠ ভুগিয়েছে দু’দলকেই!’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, আগষ্ট ১৩, ২০১৬
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।