ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়াম থেকে: রহমতগঞ্জের কোচ কামাল আহম্মেদ বাবু ভুল করেননি। কঙ্গো থেকে ঠিকই উড়িয়ে এনেছেন সিও জুনাপিওকে।
চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে চার গোল করে এখন নিঃশ্বাস ফেলছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় আহম্মেদ কোলো মুসা’র ঘাড়ে। মুসাও চলমান এই লিগে করেছেন চার গোল।
রহমতগঞ্জের অন্য বিদেশিরা ব্যর্থ হলেও বরাবরের মতো এদিনও নিজের ছন্দেই খেলেছেন জুনাপিও। ফলে সংবাদ সম্মেলনে কোচও মেতেছিলেন জুনাপিও’র বন্দনায়।
২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলছেন সিও জুনাপিও। ওই সময় ১৭ ম্যাচে ১৫ গোল করেছিলেন কঙ্গোর এ স্ট্রাইকার। সেবার তিনি খেলেছেন পুরান ঢাকার আরেক ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ফরাশগঞ্জের হয়ে। পেশাদার এ ফুটবলে ওই সময় নিজের বর্তমান ক্লাব রহমতগঞ্জের বিপক্ষে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিকও করেছিলেন।
আগের ম্যাচে সতীর্থ দাউদা জ্বলে উঠলেও এদিন ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। কিন্তু জুনাপিও’র খেলায় ধারাবাহিকতা রয়েছে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই জানালেন কোচ বাবু। চট্টগ্রাম পর্বে দু’ গোল আর ময়মনসিংহ পর্বে উত্তর বারিধারা ও আরামবাগের বিরুদ্ধে আরো দু’টি গোল, অনুভূতি কেমন জানতে চাইলে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপে মেতে উঠেন জুনাপিও।
হলুদ-সবুজদের ২৬ নম্বর জার্সিধারী এই খেলোয়াড় জানান, ‘এ লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার টার্গেট আমার। আমি প্রতি ম্যাচেই গোল করতে চাই। চলতি লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লক্ষ্য নিয়েই আমি খেলছি। ২০১২ সালেও ১৭ ম্যাচে ১৫ গোল করেছিলাম। আসলে গুনে গুনে গোল করাটাই আমার শখ। যখন যে ক্লাবের হয়ে খেলেছি নিজের সেরা নৈপুণ্যই প্রদর্শন করেছি। ’
২০১২ সালে বাংলাদেশে পেশাদার ফুটবল লিগ খেলার পর তিউনেশিয়া, সৌদি আরবেও লিগ খেলেছেন জুনাপিও। সেই স্মৃতিচারণ করে হাসিমুখে বললেন, ‘বাংলাদেশের মতো সেখানেও পুরোপুরিভাবে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করেছি। নিজেকে মেলে ধরতে সব সময়ই কঠোর অনুশীলন করি। ’
নতুনত্বের সমাহার নিয়ে শুরু হওয়া চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে নতুন স্বপ্ন বুনছেন এমনটিও জানান দেন বাংলানিউজকে। তার ভাষ্যে, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) অসাধারণ লিগ আয়োজন করেছে। সত্যিই তারা প্রশংসা পাওয়ার দাবিদার। এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে বাংলাদেশের ফুটবল এগিয়ে যাবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, আগষ্ট ১৬, ২০১৬
এমআরপি