ঢাকা: ক্লাব ও জাতীয় দলের জার্সিতে এ বছর সাফল্যের চূড়ায় ওঠেন গ্যারেথ বেল। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় আর ওয়েলকে নিয়ে যান ইউরোর সেমিফাইনালে।
নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে (ইউরো) অতীতে একবারও বাছাইপর্বের বাধা পেরোতে পারেনি ওয়েলস। সেই ওয়েলসই এবার বেলের হাত ধরে শেষ চারে নাম লেখায়। ফাইনালে নিশ্চিতের ম্যাচে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের কাছে তাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়। পরে স্বাগতিক ফ্রান্সকে হারিয়ে পর্তুগিজরাই শিরোপা উল্লাসে মাতে।
তার আগে ক্লাব লেভেলে রিয়ালের হয়ে দুর্দান্ত মৌসুমই পার করেন বেল। চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পাশাপাশি বার্সেলোনার চেয়ে এক পয়েন্টে পিছিয়ে লা লিগা শেষ করে গ্যালাকটিকোরা।
ক্লাব সতীর্থ রোনালদোর সঙ্গে ইউরোপ সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে তিনজনের চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা করে নেন বেল। সঙ্গে আছেন অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের ফ্রেঞ্চ তারকা অ্যান্তোনি গ্রিজম্যান।
সব মিলিয়ে এ বছরের মতো এমন অভিজ্ঞতা আর কখনোই পাননি বেল। তাইতো ২০১৬ সাল তার জীবনে অবিস্মরণীয় হয়েই থাকবে। এক সাক্ষাৎকারে ওয়েলস আইকন বলেন, ‘গত মৌসুমে রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাটা আমার সবচেয়ে বড় অর্জন। এটা দীর্ঘ ও কঠিন সিজন ছিল। কিন্তু আমরা কঠিন লড়াই করেছি এবং যা জিততে চেয়েছি সেটিই জিতেছি। ’
‘আমার কাছে এটা ছিল সেরা মৌসুম। শুধুমাত্র ক্লাবের হয়েই নয়। সেরা ইউরো উপভোগ করেছি, তাই এ বছরটা আমি কখনোই ভুলবো না। ’-যোগ করেন ২৭ বছর বয়সী বেল।
ইউরোপিয়ান অ্যাওয়ার্ড প্রসঙ্গে বেলের ভাষ্য, ‘চূড়ান্ত তালিকায় থাকা অনেক সম্মানের। এ ধরনের অ্যাওয়ার্ড কেউ একার প্রচেষ্টায় জিততে পারবে না, কিন্তু দলের জন্য খেললেই তা সম্ভব। তাই আমি ক্লাব ও ন্যাশনাল টিমের সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারাও এর অংশ। এই পুরস্কার জিততে পারাটা হবে বিশেষ কিছু। কিন্তু আমি দলের জন্য যা করতে পারব সেদিকেই দৃষ্টি রাখতে চাই। এর মধ্য দিয়ে যদি কোনো ব্যক্তিগত অ্যাওয়ার্ড জেতা হয়, তা হবে চমৎকার, কিন্তু সবার আগে টিম। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৬
এমআরএম
** বেলকে অন্য উচ্চতায় দেখছেন জিদান