গত সপ্তাহে ট্রান্সফারের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে বার্সা অধ্যায়ের (২০১৩-১৭) ইতি টানেন নেইমার। ২২২ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তিটি ছিল ‘টক অব দ্য ফুটবল’।
নেইমার তার দেশের প্রথম তারকা খেলোয়াড় নন যিনি ফ্রেঞ্চ জায়ান্টদের হয়ে জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন। ২০০৩ সালে বার্সায় পাড়ি জমানোর আগে পিএসজির হয়েই ইউরোপিয়ান ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বিশ্বকাপ জয়ী রোনালদিনহো।
বিশাল অঙ্কের লোভনীয় প্রস্তাবে ২৫ বছর বয়সী নেইমারের বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। তার স্বদেশী কিংবদন্তিও এ নিয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার বলে আসছেন টাকার জন্য পিএসজিতে খেলতে আসেননি, নতুন চ্যালেঞ্জ নিতেই এসেছেন। দাবি ওঠে, বার্সায় মেসির ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে এককভাবে ইউরোপের বড় কোনো ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করার আকাঙ্ক্ষাটা এর অন্যতম কারণ। বিশ্বসেরা হওয়ার আরাধ্য লক্ষ্যটা তো আছেই।
এক সাক্ষাৎকারের নেইমারের দলবদল নিয়ে রোনালদিনহো বলেন, ‘হ্যাঁ, সে যত্নশীল, যদিও এটা কঠিন যে নেইমারের হৃদয় তাকে বলেনি যে বার্সেলোনা সেরা জায়গা ছিল। এখানে একটা বিশ্বাস কাজ করছে। পিএসজিতে যাওয়ায় নেইমার হয়তো মেসির ছায়ার বাইরে আসতে পারবে এবং একদিন ব্যালন ডি’অর জিতবে। ’
কিন্তু রোনালদিনহো জোর দিয়েই বলছেন মেসি এখনো বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়, এমনকি রোনালদোর চেয়েও এগিয়ে, ‘ক্রিস্টিয়ানো ও মেসি দু’জনই গ্রেট খেলোয়াড়। কিন্তু আমি মেসির সঙ্গে থাকবো কারণ সে আমার বন্ধু। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, ৮ আগস্ট, ২০১৭
এমআরএম