ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সাফল্যময় ২০১৬-১৭ সিজন পার করেন রোনালদো। লা লিগা পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি ব্যাক-টু-ব্যাক চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের ‘উয়েফা প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ড জেতার দ্বারপ্রান্তে পর্তুগিজ সুপারস্টার।
সেক্ষেত্রে মেসিকে ছাড়িয়ে যাবেন সিআর সেভেন। দু’জনই দু’বার করে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। ২০১১ সালে মেসির হাত ধরে শুরুর পর এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো এ অ্যাওয়ার্ডটি দেওয়া হচ্ছে। একবার করে সেরার আসনে বসেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা (২০১১-১২, বার্সেলোনা) ও ফ্রাঙ্ক রিবেরি (২০১২-১৩, বায়ার্ন মিউনিখ)।
সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি ছাড়াও ভোটাভুটিতে পজিশনভিত্তিক সেরাদের বেছে নেওয়া হবে। সংক্ষিপ্ত তালিকায় প্রতিটি পজিশনে তিনজন করে ১২ জন লড়াই করবেন। যেখানে গত মৌসুমে আধিপত্য দেখানো রিয়ালেরই ৬ জন। মনোনীতদের নাম তুলে ধরা হলো:
গোলরক্ষক: জিয়ানলুইজি বুফন (জুভেন্টাস), ম্যানুয়েল নয়্যার (বায়ার্ন মিউনিখ), জ্যান ওবলাক (অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ)
ডিফেন্ডার: লিওনার্দো বোনুচ্চি (জুভেন্টাস, বর্তমান ক্লাব এসি মিলান), মার্সেলো (রিয়াল মাদ্রিদ), সার্জিও রামোস (রিয়াল মাদ্রিদ)।
মিডফিল্ডার: ক্যাসেমিরো (রিয়াল মাদ্রিদ), টনি ক্রুস (রিয়াল মাদ্রিদ), লুকা মডরিচ (রিয়াল মাদ্রিদ)।
ফরোয়ার্ড: পাওলো দিবালা (জুভেন্টাস), লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা), ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (রিয়াল মাদ্রিদ)।
প্রসঙ্গত, উয়েফার ৫৫টি সদস্য দেশের সাংবাদিক, চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা লিগের গ্রুপ পর্বের টিমগুলোর কোচ ভোট দিয়ে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন করবেন। তবে নিজেদের দলের খেলোয়াড়দের ভোট দিতে পারবেন না কোচরা। জাতীয়, মহাদেশীয় ও আন্তর্জাতিক ম্যাচের পারফরম্যান্সও বিবেচনায় আনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ১৫ আগস্ট, ২০১৭
এমআরএম
