বার্সায় ফেরার আগ্রহ দেখিয়েছেন নেইমার, এমন সংবাদ আগেও জানা গিয়েছিল। যেখানে কাতালান ক্লাবটিতে ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সফল চারটি বছর কাটিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান এই সেনসেশন।
স্প্যানিশ দৈনিক স্পোর্ট জানায়, পিএসজি প্রেসিডেন্ট নাসের আল-খেলাইফি নেইমারকে ছেড়ে দিতে এই চুক্তিতে রাজি হয়েছেন। যেখানে আগামী মৌসুম (তৃতীয় মৌসুম) শেষেই লা লিগায় ফিরবেন তিনি।
ধারণা করা হচ্ছে ২০২০ সালের গ্রীষ্মকালীন দল-বদলের বাজারেই প্যারিস থেকে বার্সায় যাবেন নেইমার। অন্যদিকে আর্নেস্তো ভালভার্দের অধীনেও বার্সাও নাকি এই রিলিজ ক্লজে সম্মতি প্রকাশ করেছে।
পত্রিকাটি অবশ্য জানিয়েছে নেইমার ২০২০ সালের আগে পিএসজি ছাড়বেন না।
এর আগে স্পেনের আরেক দৈনিক মুন্দো দেপোর্তিভো দাবি করে, বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে পাড়ি দেওয়া যে ভুল ছিল এখন তা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন নেইমার। মিস করছেন মেসির সঙ্গে ড্রেসিং রুম ভাগাভাগির মুহূর্তগুলো। তাই আগামী মৌসুমেই নিজের পুরনো সতীর্থদের সঙ্গে ফের একত্রিত হওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা!
সংবাদমাধ্যমটির মতে, এরইমধ্যে বেশ কয়েকবার স্প্যানিশ জায়ান্টদের সঙ্গে পুনরায় একত্রিত হওয়ার চেষ্টাও করেছেন নেইমার। যদিও বিশাল অঙ্কের টাকা সবচেয়ে বড় বাধা, কিন্তু তা নিয়েও আলোচনা করতে চান তিনি।
পত্রিকাটি আরও দাবি করেছে, পিএসজি নেইমারের ক্যারিয়ারে বড় কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি বলে সম্প্রতি নাকি জানিয়েছেন নেইমার নিজেই। প্যারিসের জীবন এখন তার কাছে একঘেয়ে হয়ে গেছে। তাই ফের বার্সায় মেসির সঙ্গে একত্রিত হতে চান।
মুন্দো দেপোর্তিভো জানিয়েছে, মূলত আর্জেন্টিনার মহাতারকা লিওনেল মেসির কারণেই বার্সার প্রতি নেইমারের পুরনো ভালোবাসা জেগে উঠেছে। এছাড়া লুইস সুয়ারেজ ও ইভান রাকিটিচকেও মিস করছেন তিনি।
নেইমার নাকি এখনও বার্সাকে নিজের ক্লাব বলেই মনে করেন এবং ফরাসি লিগ ওয়ান তাকে মোটেও আকর্ষণ করে না, যদিও তার বর্তমান ক্লাব পিএসজি এই মৌসুমে ৮ পয়েন্টের ব্যবধান লিগে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে।
রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিমিয়ে বার্সা থেকে নেইমারকে কেনার পেছনে পিএসজির কাতারি মালিকের উদ্দেশ্য ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা। কিন্তু গত মৌসুমে প্রথম নকআউট পর্বে সেবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের কাছে সহজেই পরাজিত হয়ে বিদায় নেয় দলটি। ফলে নেইমারকে দলে টানার সুফল হাতেনাতে পায়নি ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ২০ অক্টোবর, ২০১৮
এমএমএস