ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারের সঙ্গে গত মৌসুমেই পেনাল্টি আর ফ্রি কিক নিয়ে বিবাদে জড়ান উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার এদিনসন কাভানি। এরপর দলে এসেছেন ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে।
সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, নেইমারের পা থেকে মাত্র ০.৫ শতাংশ পাস গেছে কাভানির পায়ে, যেখানে এমবাপ্পেকে ২৫ শতাংশ পাস দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
গত মাসেই কাভানি ক্ষোভের সুরে বলেছিলেন, পিএজসির সাফল্যের জন্য তাদের বন্ধু হওয়া জরুরি নয়। ‘পেনাল্টি নিয়ে ঝামেলা এখন অতীত। এসব ফুটবলে হতেই পারে,’ বলেছিলেন কাভানি।
‘আমাদের অবশ্যই একসঙ্গে একটা সমাধানে আসতে হবে এবং দল হয়ে খেলতে হবে। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল হতে হবে, তবে এজন্য আমাদের বন্ধু হওয়া জরুরি নয়। আপনাকে প্রফেশনাল হতে হবে এবং সবশেষে প্রত্যেকের নিজস্ব জীবন আছে। ’
এদিকে শুক্রবার রাতে লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে উরুগুয়ের মুখোমুখি হয় ব্রাজিল। ম্যাচে দুই ক্লাব সতীর্থ দুজনের প্রতিপক্ষ হিসেবে নামেন। আর এই ম্যাচেও নিজেদের মধ্যে চলতে থাকা ঝগড়া আড়াল করতে ব্যর্থ হন এই দুই তারকা ফুটবলার।
ম্যাচের একদম শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে গোল করেন নেইমার। ম্যাচে গোল হয়েছে ওই একটিই। এরপর হাতে সময় ছিল খুবই অল্প। নেইমার বল নিয়ে টাচলাইনের কাছে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু কাভানি কিছুটা বিগড়ে যান। মূলত হাতে সময় না থাকায় বল নিজের দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন কাভানি।
নেইমারের কারিকুরি কাভানির কাছে অসহ্য লাগছিল। তার কাছে এটা শুধুই সময় নষ্ট করার মতলব বলে মনে হচ্ছিল। রাগের বসে কড়া ট্যাকল করে বসলেন কাভানি। এজন্য তাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। সিদ্ধান্ত মানতে পারছিলেন না কাভানি।
কাভানি ইশারায় রেফারিকে বোঝাচ্ছিলেন নেইমার তার বিখ্যাত ‘ডাইভ’ দিয়ে ফাউল আদায় করে নিয়েছেন। তবে এরপর নেইমারের দিকে হ্যান্ডশেক করার জন্য হাত বাড়িয়ে দেন কাভানি। কিন্তু তাচ্ছিল্যের সঙ্গে হাত সরিয়ে নেন নেইমার।
আগামী সপ্তাহে পিএসজির অনুশীলনে ফের একসঙ্গে দেখা যাবে এই দুই তারকাকে। দেখা যাক, কোথাকার জল কোথায় গিয়ে গড়ায়।
এদিকে প্রয়াত ব্রাজিল তারকা গোলরক্ষক গিলমারকে (৯৪ ম্যাচ) পেছনে ফেলে ব্রাজিলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার তালিকায় সেরা দশে স্থান করে নিয়েছেন নেইমার। ব্রাজিলের হয়ে ৯৫টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন এই ফরোয়ার্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৮
এমএইচএম/এমএমএস