এর আগে সোমবার (১৯ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দুই দলের মধ্যকার সেমিফাইনালের লড়াইয়ে প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য ড্র।
প্রথম গোলের দেখা পেতে প্রতিযোগিতার ১০ বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে অপেক্ষা করতে হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত।
খেলার ৫৬ মিনিটে বাঁ দিক থেকে রুবেল মিয়ার ফ্রি-কিক ডি-বক্সে পড়লে শেখ জামালের রক্ষণভাগের প্লেয়াররা বিপদমুক্ত করতে পারেননি। সেখান থেকে দ্রুত শটে জালে বল ঠেলে দেন মাসিহ সাইঘানি।
৮ মিনিট পরে ডি-বক্সের মধ্যে শ্যামল মিয়া চিজোবাকে ফাউল করলে পেনাল্টি দেন রেফারি। নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন চিজোবা।
শেখ জামাল প্রথম গোলের দেখা পায় ৭৯ মিনিটে। সতীর্থের বাড়ানো বল থেকে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন বদলি মিডফিল্ডার দিদারুল আলম।
দুই মিনিট পর ওয়ালী ফয়সালের কর্নার থেকে হেডে চিজোবা জাল খুঁজে নিলে আবাহনীর ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৩-১।
এর ঠিক ৩ মিনিট পরে ডি-বক্সের জটলার মধ্যে থেকে করা দিদারুলের গোল ফের ম্যাচ জমিয়ে দেয়। ব্যবধান কমিয়ে স্কোর দাঁড়ায় ৩-২।
তবে ওই শেষ। ৮৬ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে জালে বল জড়িয়ে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণের সঙ্গে আবাহনীকে ৪- ২ ব্যবধানের জয় এনে দেন চিজোবা।
সেই ব্যবধান ম্যাচের শেষ পর্যন্ত অক্ষুণ্ণ রেখে টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত করে আবাহনী।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
এইচএল/এমজেএফ