গত বছর লাস ভেগাসের এক হোটেল রুমে ক্যাথরিন মায়োর্গাকে ধর্ষণ করেছিলেন এমন অভিযোগ তোলা হয় রোনালদোর বিরুদ্ধে। ২০০৯ সালে চাচাতো ভাই ও আরেক আত্মীয়ের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটাতে গিয়ে নাকি ওই কাণ্ড ঘটান রোনালদো।
ধর্ষণের শিকার দাবী করা মায়োর্গা জার্মান পত্রিকা ডের স্পিগেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, ধর্ষণের ঘটনা দামাচাপা দিতে রোনালদো নাকি তাকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষ দেন এবং একটি গোপন চুক্তিতেও স্বাক্ষর করতে বলেন।
ওই নারীর অভিযোগের পর ধর্ষণ মামলা সচল করে লাস ভেগাসের মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিপার্টমেন্ট।
এবার লিনার্ডও রোনালদোর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ তুললেন। সম্প্রতি নিজের টুইটার একাউন্ট থেকে একাধিক পোস্টে রোনালদোর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে মায়োর্গাকে সহায়তা করার কথা প্রকাশ করেছেন লিনার্ড। সেই পোস্টে তিনি দাবী করেন, রোনালদোর বিরুদ্ধে শক্ত প্রমাণ আছে তার কাছে এবং তা এই কেসে তাদের কাজে দেবে।
নিজের পোস্টে রোনালদোকে রীতিমত ধুয়ে দিয়েছেন লিনার্ড। ধারাবাহিক টুইটে তিনি লিখেছেন, 'আপনি যখন কাউকে যৌন কাজে জোর করবেন আপনি ধর্ষক এবং দানব। আর আপনি ফুটবলে কতো ভালো কিক করতে পারেন কিংবা ভালো গান গাইতে পারেন তা আমার কাছে বিবেচ্য নয়। '
এরপর রোনালদোকে উদ্দেশ্য করে লিনার্ড লিখেছেন, 'সে মনে করে আইনের ফাঁক গলে সে পার পেয়ে যাবে। কিন্তু এবার তা হবে না। তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল প্রায় একযুগের। গত বছর পর্যন্তও তার সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। আমার কাছে তার ম্যাসেজ ও রেকর্ডিং আছে যা কাজে লাগতে পারে। '
'ক্যাথরিন এবং তার দল রোনালদোর আসল চেহারা ও চরিত্র ফাঁস করে দিয়েছে। আমি আর বসে থাকতে পারছি না। এতে আমার নিজেকেই অপরাধী বলে মনে হচ্ছে। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করো ক্যাথরিন। আমি তোমাকে সহয়তা করব। '
'সে আমাকে তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো থামাতে ও আমাকে চুপ রাখতে অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমি সঠিক কাজটাই করব যাতে তুমি নিজেকে তৈরি করতে পারো। সে হয়তো তোমাকে থামাতে চেষ্টা করবে কিন্তু এটা এখন সবাই জানে ফলে সে বাজেভাবে ব্যর্থ হবে। '
'তার (রোনালদো) ভয়ানক মানসিক সমস্যা আছে। তার সন্তান ও তার সন্তানের মায়ের চারপাশ মিথ্যে ঘিরে আছে। সে একটা পাষণ্ড এবং মিথ্যুক। তার পুরো জীবনটাই একটা মিথ্যে। ও একটা মানসিক রোগী। '
'সে আমাকে একবার বলেছিল আমি যদি অন্য কারো সঙ্গে ডেট করি কিংবা বাড়ির বাইরে যাই তাহলে সে আমাকে অপহরণ করবে এবং আমার দেহ টুকরো টুকরো করে ব্যাগে ভরে নদীতে ফেলে দেবে। হ্যাঁ, আমি যা বলছি তার প্রমাণ আছে আমার কাছে। '
'না, আমি তাকে ভয় পাইনা। প্রায় একযুগ ধরে আমি তার বহু ভণ্ডামি গোপন রেখেছিলাম। কিন্তু এটা (মায়োর্গাকে ধর্ষণ) ছিল এগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। আমি আদালতে এসব অভিযোগের জন্য তার পাশে দাঁড়াবো না, যখন আমি বিশ্বাস করি সে অপরাধী। '
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
এমএইচএম