উদ্বোধনী খেলায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব মুখোমুখি হবে। এরই মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের হোম ভেন্যু হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে শেখ ফুজলুল হক মণি স্টেডিয়াম।
এর আগে ২০১২ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের হোম ভেন্যু হিসেবে গোপালগঞ্জে প্রথম বিপিএল’র আসর বসে। ২০১৬ সালে একই দলের হোম ভেন্যু হিসেবে বিপিএল’র দ্বিতীয় আসর বসে গোপালগঞ্জে। এবারের আসরে ১৩টি দল অংশ নিচ্ছে।
দলগুলো হলো- মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড, আবাহনী লিমিটেড ঢাকা, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড, চিটাগাং আবাহনী লিমিটেড, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড, আরামবাগ ক্রীড়া সংসদ, নওফেল স্পোর্টিং ক্লাব, বসুন্ধরা কিং, টিম বিজেএমসি, ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেড, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড ও রহমতগঞ্জ এমএফএস। এসব দলের মোট ২৪টি খেলা এ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বিপিএল'র গোপালগঞ্জ ভেন্যুর খেলাগুলো শেষ করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে গোপালগঞ্জ জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। এরই মধ্যে মাঠ প্রস্তুত, স্টেডিয়ামের দর্শক গ্যালারি রং করা, খেলোয়াড়দের থাকা-খাওয়া, অনুশীলন, নিরাপত্তার কাজসহ যাবতীয় কাজ শেষ হয়েছে।
ক্রীড়ামোদী দর্শকদের মাঠে ফিরিয়ে আনতে শহরের অলি-গলি ও গ্রামের হাট-বাজারে মাইকিং করে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে।
এদিকে গোপালগঞ্জে বিপিএল’র মতো বড় ধরনের আসরের ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হবে এতে জেলার ক্রীড়ামোদী দর্শকরা উদ্বেলিত। ঘরের মাঠে বসে দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়দের ক্রীড়া নৈপুণ্য উপভোগ করতে পারার আশায় গোপালগঞ্জের মানুষ খুবই খুশি।
রিপন কাজী নামে দর্শক বলেন, আমাদের পক্ষে ঢাকায় গিয়ে খেলা দেখা সম্ভব হয় না। গোপালগঞ্জে বিপিএল’র খেলা হবে এতে সারা গোপালগঞ্জবাসীর মতো আমিও খুশি। আমি নিজ মাঠে বসে তারকা খেলোয়াড়দের খেলা দেখতে পারবো। তাই আমি অনেক খুশি ও আনন্দিত।
স্থানীয় ক্রীড়ামোদী আশিকুর রহমান হামিম, জুভিন মুস্তফা, শিরিন আকতার বাংলানিউজকে বলেন, নিজ মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবো। এটা আমাদের জন্য বড় একটা খুশির বিষয়। তাই আয়োজক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদসহ আগামীতে গোপালগঞ্জে বিপিএল’র খেলা হবে এই প্রত্যাশা করছি।
ক্রীড়া সংগঠক নজরুল ইসলাম নান্টু বাংলানিউজকে বলেন, গোপালগঞ্জের মানুষ ঘরের মাঠে বসে বড় বড় দলের ফুটবল খেলা দেখতে পারবেন। আশা করবো প্রতি বছর যেন এখানে বিপিএল অনুষ্ঠিত হয়।
গোপালগঞ্জ জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মানি জানান, বিপিএল’র তৃতীয় আসর গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মণি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ায় দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়দের ক্রীড়া শৈলী এ জেলাসহ আশপাশের জেলার ফুটবল-প্রেমীরা দেখতে পারবেন। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বিপিএল খেলা অনুষ্ঠিত করার জন্য মাঠ প্রস্তুতসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। দর্শকদের মাঠমুখী করতে মাইকিং করে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্য নির্বাহী সদস্য ও ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক মো. ইলিয়াস হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গোপালগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের হোম ভেন্যু হিসেবে বিপিএল’র তৃতীয় আসর বসছে। এ মাঠে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের ২৪টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রসহ ১৩টি দল এ মাঠে খেলবে। দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়দের খেলা দেখে এখান থেকেও নতুন নতুন খেলোয়াড় তৈরি হবে এমন প্রত্যাশাও করেন সাবেক এ কৃতি ফুটবলার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
জিপি