বুধবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে নিজেদের মাঠে ৬-১ গোলের ব্যবধানে জিতেছে আর্নেস্তো ভালভার্দের শিষ্যরা। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে তাদের জয় হয়েছে ৬-৩ ব্যবধানে।
মেসির দলের শুরুটাই হয় দারুণ। ১২তম মিনিটে লিওনেল মেসিকে ডি-বক্সে প্রোমেস ফাউল করে বসলে পেনাল্টি ডাকেন রেফারি। ১৩তম মিনিটে সেই পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে নেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ফিলিপে কুতিনহো।
অবশ্য মিনিট দশেক পর একই কায়দায় গোল শোধের সুযোগ ছিল সেভিয়ার সামনে। ২৪তম মিনিটে রোকি মেসাকে বার্সার ডি-বক্সে জেরার্দ পিকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বেজে ওঠে। তবে সেখান থেকে এভার বানেগাকে গোল আদায়ে বঞ্চিত করেন বার্সেলোনার গোলরক্ষক সিলেসেন।
৩১তম মিনিটে বার্সাকে আরও এগিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ান তারকা ইভান রাকিতিচ। ম্যালকম আর্থারের বাড়ানো বল গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন তিনি। তখন দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরবোর্ডে ২-২। এই অবস্থায়ই দুই দল বিরতিতে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হলে বার্সা এবার ব্যবধান বাড়ানোর মিশনে যেন নামে। ৫৩তম মিনিটেই লুইস সুয়ারেজের পাস থেকে হেডে নিজের দ্বিতীয় গোলটি উদযাপন করেন গত কয়েকটি খেলায় শুরুর একাদশে জায়গা না পাওয়া কুতিনহো। পরের মিনিটেই মেসির পাস থেকে গোল করেন সার্জিও রোবের্তো।
দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোল ব্যবধান দাঁড়ানোয় বার্সেলোনার ভক্তরা খানিকটা নির্ভার থাকতে চাইলেও ৬৭তম মিনিটে তাদের হৃদয়ে কাঁপুনি ধরান গিলের্মো আরানা। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এভার বানেগার পাস থেকে বল জালে পাঠিয়ে ব্যবধান কমান তিনি। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধান দাঁড়ানোয় সেভিয়ার ভক্তরা ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় বুক বাঁধে।
কিন্তু সেভিয়ার আশা আর আলো দেখেনি। বরং বার্সেলোনা আরও দু’বার বল জড়িয়েছে সেভিয়ার জালে। ৮৯তম মিনিটে জর্দি আলবার ক্রস থেকে পঞ্চম গোল উদযাপন করেন উরুগুইয়ান তারকা সুয়ারেজ। আর পুরো ম্যাচে আলো ছড়িয়ে খেলেও এতোক্ষণ যিনি গোল পাচ্ছিলেন না, অতিরিক্ত সময়ে সেই মেসি ষষ্ঠ গোলটি করে উৎসবের সমাপ্তি টানেন। এই গোল আসে আলবার পাস থেকে।
বুধবার আরেক খেলায় এস্পানিওলকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল বেতিস। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে তারাও উঠে গেছে সেমিতে। আগেই উঠে গেছে ভ্যালেন্সিয়া। সেমির শেষ দল হিসেবে জায়গা পেতে বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) নামবে রিয়াল মাদ্রিদ ও জিরোনা। প্রথম লেগে ৪-২ গোলে জিতে এগিয়ে আছে সার্জিও রামোসের দল।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
এইচএ/