গত বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে আর্জেন্টিনার বিদায়ের পর থেকেই জাতীয় দল থেকে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে আছেন মেসি। নিজের সেরাটা দিয়েও ওই ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে ৪-৩ গোলে হেরে যাওয়ার পর মানসিক চাপ সইতে না পেরেই অমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেসময়ের আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
এর আগে ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির কাছে পেনাল্টি শুট আউটে হেরে যাওয়ার পরও জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি। তবে দুই মাস পরেই ফিরে এসেছিলেন।
সম্প্রতি কোপা আমেরিকার ড্র অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ মাধ্যমকে স্কালোনি বলেন, ‘আমরা মার্চের আগেই মেসির সঙ্গে কথা বলব। যখন সময় হবে তখনই কথা হবে। আমরা আশা করি সে ফিরবে কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা, আমরা তাকে খুশি দেখতে চাই। আমার মনও তাই বলছে। ’
তবে মেসির ফেরা নিশ্চিত হওয়া যাবে যখন দুই প্রীতি ম্যাচের স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে।
স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার হয়ে সম্ভাব্য সকল শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেও দেশের জার্সিতে এখনো সাফল্যের দেখা পাননি মেসি। পারেননি দিয়েগো ম্যারাডোনার ছায়া থেকে বের হতে। ছোট কাঁধে বিশাল প্রত্যাশার চাপ সইতে গিয়ে প্রায়ই তীরে গিয়ে তরি ডুবেছে তার। আর এজন্য তাকেই দায়ী করেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা।
অথচ কখনোই চেষ্টার কমতি রাখেননি মেসি। দলীয় ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নিতে নিতে ক্লান্ত মেসি তাই রাশিয়ায় ব্যর্থতার পর সরে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তার কোনো বিকল্পও তৈরি হয়নি আর্জেন্টিনায়। বিশ্বের সেরা ফুটবলারের বিকল্প বের করা এত সহজ নয় তা এরইমধ্যে বুঝে গেছে আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন। তাই বারবার দলের বিপদে তার শরণাপন্ন হতে হয় তাদের। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।
মেসিকে দলে ফেরানোর চেষ্টা অনেকদিন থেকেই জারি রেখেছেন অন্তর্বর্তীকালীন কোচ লিওনেল স্কালোনি। বেশ কয়েকবার মেসির সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। কিন্তু এতদিন খুশির খবরটাই দিতে পারছিলেন না।
তবে এবার মনে হয় আর্জেন্টাইন কোচের কপাল খুলতে চলেছে। মার্চেই যদি মেসি দলে ফেরেন, তাহলে ২০১৯ কোপা আমেরিকার জন্য দল গোছানোর যথেষ্ট সুযোগ পাবেন স্কালোনি। এছাড়া ২০২২ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব উতরাতেও মেসিকে তার ভীষণ প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস