ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

দুর্দান্ত আয়াক্সের বিপক্ষে রিয়ালের কষ্টার্জিত জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
দুর্দান্ত আয়াক্সের বিপক্ষে রিয়ালের কষ্টার্জিত জয় রিয়াল মাদ্রিদ ও আয়াক্সের মধ্যকার ম্যাচের একটি মুহূর্ত

পুরো মাঠেই দাপিয়ে বেড়িয়েছে ডাচ ক্লাব আয়াক্স। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের কাছে হেরে যেতে হয় তাদের। বেনজেমা-আসেনসিওর গোলে স্বাগতিকদের ১-২ ব্যবধানে হারায় রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ম্যাচে রেফারির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সবখানে।
 

ম্যাচের শুরু থেকে তরুণ আয়াক্স দলটি ছড়ি ঘোরাতে থাকে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী রিয়াল মাদ্রিদের উপর। মাদ্রিদকে কোন রকম সুযোগ না দিয়ে হাই প্রেসে ফুটবল খেলে পুরো নাস্তানবুদ করে ফেলে ডাচ ক্লাবটি।

 
 
ম্যাচের প্রথম আক্রমণটি আসে রিয়াল খেলোয়াড় বেলের পা থেকে। ৮ মিনিটে তার নেওয়া শট রুখে দেন ক্যামেরুনের ২২ বছর বয়সী গোলরক্ষক ওনানা। এর ঠিক দুই মিনিট পর মাজরুইজির শট গোলবারের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে গেলে কাঁপন ধরে যায় রিয়াল শিবিরে। ১৬ মিনিটে ভিনিসুয়েসের ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে নেওয়া শট দুর্দান্তভাবে কর্নারের বিনিমিয়ে রুখে দিয়ে বাঁচান ওনানা।
 
ঠিক এরপরেই শুরু হয় আয়াক্সের হাই প্রেসিং ফুটবল। প্রেসিংয়ে রিয়ালের খেলোয়াড়রা এতটাই দিশেহারা ছিল যে বেলকে নিজেদের অর্ধের ডি বক্সেই প্রায় পড়ে থাকতে হয়েছে। ২৮ মিনিটে টাডিচ রামোসকে ফাঁকি দিয়ে বল নিয়ে ডিবক্সের ভেতর শট নিলেও সেটি গোলবারে লেগে বাইরে চলে যায়। আবারও বেঁচে যায় রিয়াল। ৩৭ মিনিটে কর্তোয়াকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন গতবছরের আয়াক্সের সেরা খেলোয়াড় জায়েখ। এরপরেই আসে ম্যাচের সেই উত্তেজনাকর মুহূর্ত।  
 
৩৮ মিনিটে আয়াক্স কর্নার পেলে সেখান থেকে এক আয়াক্স খেলোয়াড়ের হেড কর্তোয়ার হাত ফসকে পড়ে গেলে তালিয়াফিকো হেড থেকে গোল করলে উল্লাসে মাতে পুরো ডাচ ক্যাপিটাল। কিন্তু ভিএআরের মাধ্যমে দেখা যায় তালিয়াফিকোর গোলের সময় টাডিচ অফসাইয়াডে ছিলেন এবং কর্তোয়াকে বল ধরতে বাধা দিচ্ছিলেন। যে কারণেই গোলটি বাতিল করা হয়। এরপরেই পুরো ফুটবল অঙ্গনে এই সিদ্ধান্তের পক্ষে বিপক্ষে নানা আলোচনা চলতে থাকে। গোলশূন্য প্রথমার্ধে আয়াক্সের নেওয়া ১১টি শটের ভেতর ৩ শটই ছিল গোলমুখে।  
 
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক আয়াক্স। কিন্তু শ্রোতের বিপরীতে ৬১ মিনিয়ে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ভিনিসিয়ুসের বাড়ানো পাস থেকে গোল করে রিয়ালকে প্রথম এগিয়ে দেন বেনজেমা। গোল খেয়েও খেই হারায়নি আয়াক্স।  
৭৬ মিনিটে জায়েখের গোলে সমতায় ফেরে ডাচ ক্লাবটি। কিন্তু ম্যাচ শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে কার্ভাহালের বাড়ানো ক্রসে গোল করে দলকে জয় এনে দেন আসেনসিও।  
 
তবে এই গোলেও রেফারির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রিপ্লেতে দেখা যায় রেফারির চোখের সামনেই ভাস্কুয়েজ দি অংকে ফাউল করছেন কিন্তু রেফারি ফাউলের সিদ্ধান্ত দেননি। এমনকি ভিএআরে দেখারও প্রয়োজন মনে করেননি। এই জয়ে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেই কোয়ার্টারে এক পা দিয়ে দ্বিতীয় লেগে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ।

বাংলাদেশ সময়: ০৪২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪,  ২০১৯  
এমকেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।