এই জয় দিয়েই স্পেনের শীর্ষ লিগে কোনো দলের বিপক্ষে বার্সেলোনা টানা ১৩ ম্যাচে জয় পেলো। রেকর্ডময় জয়টা বার্সেলোনার জন্য তাই স্মরণীয় হয়েই থাকবে।
ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে শুরু থেকেই বল দখলে আধিপত্য দেখায় কাতালানরা। ২৩ মিনিটে ফিলিপে কুতিনহোর শট ফিরিয়ে দেন রায়ো ভায়েকানোর গোলরক্ষক। ফিরতি বল থেকে পাল্টা আক্রমণে যায় ভায়েকানো। আলভারো গার্সিয়ার বাড়ানো বল বার্সার ডি-বক্সের কিছুটা সামনেই পেয়ে যান রাউল ডি টমাস। বুদ্ধিদীপ্ত অসাধারণ এক শটে পরাস্ত করেন বার্সা গোললক্ষক টেরস্টেগানকে। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় রায়ো ভায়েকানো।
সমতায় ফিরতে সময় নেয়নি স্বাগতিকরা। ৩৮ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় বার্সেলোনা। ডি-বক্সের ডান পাশ থেকে মেসির নেওয়া বাঁকানো শট দৌড়ে গিয়ে অসাধারণ এক হেডে বল জালে পাঠান। ১-১ গোলে সমতায় ফেরে বার্সেলোনা।
সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ। বিরতির পর স্বরূপে ফেরে বার্সেলোনা। ৫০ মিনিটে বার্সার একটি আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে ডি-বক্সের মধ্যে নেলসন সেমেদোকে ফেলে দেন রায়ো ভায়েকানোর ডিফেন্ডার জর্ডি আমাত। স্পট কিক থেকে গোল করে কাতালানদের ২-১ গোলের লিড এনে দেন লিওনেল মেসি। এটি লিগে তার ২৬তম গোল।
এরপর বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি বার্সেলোনা। ম্যাচের ৮২ মিনিটে আর ভুল করেনি লুইজ সুয়ারেজ। রাকিতিচের পাস থেকে ফাঁকা গোল পোস্টে প্লেসিং শটে লিগের ১৭তম গোলে ব্যবধান ৩-১ করেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার।
এরপর আর কোনো গোল না হলে ৩-১ গোলের সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন ভালভার্দের শিষ্যরা। এই জয়ে ২৭ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান পোক্ত করলো বার্সেলোনা।
স্প্যানিশ লিগের আরেক ম্যাচে সাউল নিগুয়েজের একমাত্র গোলে লেগানেসকে ১-০ গোলে হারিয়েছে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে থাকা অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। ২৭ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট সিমেওনির শিষ্যদের।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
আরএআর/এমজেএফ