প্রথম লেগে রেনেসের কাছে তাদের মাটিতে ৩-১ গোলে হেরেছিল গানাররা। তাই পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় লেগে মাঠে নামে ইংলিশ জায়ান্টরা।
ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে আর্সেনাল। ৫ মিনিটে সাফল্যও পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। অ্যারোন রামজির পাস থেকে বল পেয়ে যান আউবামেয়াং। পেনাল্টি বক্সের ৬ গজ দূর থেকে বাম পায়ের শটে আর্সেনালকে ১-০ গোলে লিড এনে দেন।
লিড পেয়ে আক্রমণের গতি বাড়িয়ে দেয় গানাররা। ১৫ মিনিটে আর্সেনালের একটি আক্রমণের বল বাম পাশের বাই লাইনের অতিক্রম করার আগ মুহূর্তে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ক্রস করেন আউবামেয়াং। সেই ক্রস থেকে গোল পোস্টের কাছ থেকে আইন্সলে মাইটল্যান্ড হেড দিয়ে বল জালে পাঠান। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। দুই লেগ মিলে ৩-৩ গোলের সমতায় ফেরে গানাররা। তবে অ্যাওয়ে গোলে লিড পায় স্বাগতিক দল।
লিড ধরে রেখেই প্রথমার্ধ শেষ করে আর্সেনাল। বিরতির পর শুরুতেই ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল রেনেস। গ্রিনিয়ের নেয়া শট গোলবারে লেগে ফেরত আসে।
এরপর ৭২ মিনিটে গোল উৎসবের উপলক্ষ পেয়ে যায় আর্সেনাল। কোলাসারিকে পাস থেকে বল পেয়ে যান আউবামেয়াং। ডান পায়ের শটে গোল করে দলের ব্যবধান ৩-০ করেন তিনি।
ম্যাচের ৮২ ও ৮৩ মিনিটে দুটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন আউবামেয়াং। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া রেনেস শেষ দিকে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে আর্সেনালের ডিফেন্সের ওপর চাপ তৈরি করেও গোল আদায় করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের জয় পায় উনাই এমরির শিষ্যরা। দুই লেগ মিলে ৪-৩ গোলের জয়ে শেষ আট নিশ্চিত করে আর্সেনাল।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৯
আরএআর/এসআই