ম্যাচের আয়ু তখন মাত্র ২৯ সেকেন্ড। অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের ঘরের মাঠ ওয়ান্দা মেত্রোপোলিতানো স্টেডিয়ামের দর্শক তখনও আয়েশ করে বসেনি চেয়ারে।
ডি-বক্সের ভেতর লিভারপুল ফরোয়ার্ড সাদিও মানের বুদ্ধিদীপ্ত শট হাতে লাগে টটেনহাম মিডফিল্ডার সিসোকোর। রেফারি সিদ্ধান্ত দেন পেনাল্টির। দ্বিতীয় মিনিটে স্পট-কিক থেকে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন ‘মিসরের রাজা’ মোহামেদ সালাহ।
গত আসরে লিভারপুলের শিরোপা না জেতার ক্ষতে সুখের প্রলেপ লাগিয়ে দেন তিনি। ২০১৭-১৮ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে হেরে স্বপ্ন ভাঙে লিভারপুলের। সেই ম্যাচে প্রথমার্ধে চোটে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় সালাহকে। এবার সালাহর গোলে ইউরোপ ফুটবলে রিয়ালের ১০৯৯ দিনের রাজত্ব কেড়ে নিল ক্লপের দল।
অন্যদিকে রূপকথা লেখার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছিল টটেনহ্যামও। রোমাঞ্চকরভাবে আয়াক্সকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠে স্পার্সরা। কিন্তু মাউরিসিও পচেত্তিনোর দল শুরুতে পিছিয়ে পড়ে লড়াই করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি।
৭৯ মিনিটে লুকাস মউরার শট দারুণভোবে রুখে দেন লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসন। ৮০ মিনিটে সং হিয়ুং মিনের বাঁকানো ফ্রি-কিক থেকে দুর্দান্তভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে অলরেডসদের বাঁচান এই ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। ৮৪ মিনিটে এরিকসেনের কর্নার কিক থেকে হেড দেন সং মিন। কিন্তু বল চলে যায় গোলপোস্টোর ওপর দিয়ে।
তার আগে ৬৯ মিনিটে জেমস মিলনারের শট থেকে দ্বিতীয় গোল হজম করতে বসেছিল টটেনহাম। অবশ্য দ্বিতীয় গোল তারা ঠিকই হজম করে। নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট আগে লিভারপুলের হয়ে ব্যবধান বাড়ান বদলি খেলোয়াড় ডিভোক ওরিগি।
আয়াক্সের বিপক্ষে ফিরতি লেগে রূপকথার কারিগর লুকাস মউরাকে বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজান পচেত্তিনো। সুযোগ দিয়েছিলেন দীর্ঘদিন পর ফেরা হ্যারি কেন এবং সং হিয়ুং মিনকে। কিন্তু চেষ্টা সত্ত্বেও লিভারপুলের ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইকের দেয়াল ভাঙতে পারেনি স্পার্সরা।
২০০৫ সালে এসি মিলানকে হারিয়ে নিজেদের পঞ্চম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতে লিভারপুল। এরপর ২০০৬-০৭ ও ২০১৭-১৮ মৌসুমে দুইবার ফাইনাল খেলেও শিরোপা জিতেনি তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৯ ঘন্টা, জুন ০২, ২০১৯
ইউবি